উইকেটই যখন মুস্তাফিজের ‘বাধা’
অভিষেকেই ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্যারিয়ারের শুরুর সময়ে বাঁ হাতের জাদুতে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে উইকেট বৃষ্টি নামিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। আইপিএলও দেখেছে তার অবিশ্বাস্য বোলিং, কাটারে বিশেষ দক্ষতা থাকায় তার নামই হয়ে যায় 'কাটার মাস্টার'।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বোলিংয়ে ধার হারিয়েছেন মুস্তাফিজ। শুরুর সেই অপ্রতিরোধ্য মুস্তাফিজের দেখা মেলে না অনেক দিন হয়। যদিও ঘরের মাঠে এখনও তিনি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য পরীক্ষার নাম। কিন্তু বিদেশের মাটিতে মুস্তাফিজই 'সাদামাটা' একজন পেসার হয়ে উঠছেন। বিদেশের মাটিতে 'ট্রু' উইকেট হওয়ায় তাকে আগের মতো করে দেখা যাচ্ছে না বলে জানালেন তিনি।
ধীর গতির উইকেটে মুস্তাফিজ সব সময়ই প্রতিপক্ষের জন্য হুমকির কারণ। কিন্তু ফাস্ট, বাউন্সি বা ব্যাটিং উইকেটে তাকে আগের মতো চেহারায় দেখা যায় না। এমন উইকেট তার জন্য বাধা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন এমনই জানালেন মুস্তাফিজ।
তিনি বলেন, 'এটার কারণ হচ্ছে এশিয়ার উইকেট এক রকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট এক রকম। এশিয়ার বাইরে ট্রু উইকেট থাকে। আমার মনে হয় এটা একটা কারণ হতে পারে। আর আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার সেরাটা দেওয়ার। এশিয়ার মধ্যে দেখবেন এক দল ১৫০ রান করলেই অন্য দলের সেটা করতে কষ্ট হয়। এশিয়ার বাইরে ২০০ রান করলেও নিরাপদ নয়। এ কারণে ইকোনমি বাড়তেও পারে।'
একই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করলেও মুস্তাফিজের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদারা। মুস্তাফিজের চেষ্টা তাই প্রতিদিনই উন্নতি করা, 'অপারেশনের পর এক-দেড় বছর আমার ওই রকম ভালো পারফরম্যান্স ছিল না। শেখার তো শেষ নেই, প্রতিদিন উন্নতি করা যায়। আমি আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি যে বিশ্বের আরও ভালো ভালো বোলারদের মতো কীভাবে হওয়া যায়। ফিটনেস বলেন, কোচদের পরামর্শ নেওয়া বলেন, আমি শিখছি।'
প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে অগোছালো থাকা বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ৩৫ রানে। ৭ জুলাই তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে দলের বোলারদের নিয়ে আলোচনায় বসে টিম ম্যানেজমেন্ট। আগের ম্যাচের ভুল কাটিয়ে কীভাবে আরও ভালো বোলিং করা যায়, আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল এটা। মুস্তাফিজ বলেন, 'আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, কী করলে আরও ভালো করা যায়, এটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।'