‘বিকেএসপির প্রতিটি দিন নিয়ে একটি করে বই লিখতে পারব’

বিকেএসপি- বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খেলোয়াড় তৈরির এই আঁতুড়ঘরের অন্যরকম পূর্ণাঙ্গ রূপও থাকতে পারে সাকিব আল হাসানের কাছে। এই বিকেএসপিতেই বেড়ে ওঠা তার। এখান থেকেই বিশ্বসেরা হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছিলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম থেকে বিকেএসপির ছয় মাসের ক্যাম্পে সুযোগ পাওয়া সাকিবের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটি স্পেশাল। এখানকার প্রতিটি দিন তার কাছে বিশেষ কিছু। বিকেএসপির একেকটি দিন নিয়ে একটি করে বই লিখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে লাইভে আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
এক ভক্ত বিকেএসপি নিয়ে সাকিবের কাছে জানতে চান। ২০০২ সালে বিকেএসপিতে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সাকিব বলেন, 'আমার সবচেয়ে স্মরণীয় ও মজার সময় ছিল বিকেএসপিতে। হ্যাঁ, প্রথম দুই-আড়াই মাস কঠিন ছিল। কিন্তু এর পরের প্রতিটি দিন নিয়েই আমার মনে হয় আমি একটি করে বই লিখতে পারব। এত মজা করেছি যে, ছুটিতেও আমি বিকেএসপিতে যেতাম। যদিও এখন যাওয়া হয় না খুব বেশি।'
লাইভে ভক্তদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দেন সাকিব। আগামী বিশ্বকাপে ভালো করতে বাংলাদেশকে কী করতে হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, 'খুব বেশি কিছু যে দরকার, তা নয়। আমার কাছে মনে হয় যে জিনিসগুলো দরকার, সেটা আছে। এখন যে দলটা আছে, সেখানে মোটামুটি সবই আছে। তবে ক্রিকেটারদের পরিচর্যা অনেক বেশি দরকার। ভালো প্রস্তুতি হওয়া দরকার। আমার মনে হয়, আমরা খুব ভালো দল হয়েই ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারব।'
বাবা হওয়ার পর নিজের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন দেখতে পান সাকিব। দায়িত্ববোধের দিক থেকে নিজেকে পরিণত মনে হয় তার কাছে। দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হতে যাওয়া সাকিব বলেন, 'বাবা হওয়ার পর আমার অনেক কিছু পবির্তন হয়েছে। এটা হয়তো দায়িত্ববোধ। এটা যখন আসে আপনি বলতে পারবেন না, বর্ণনাও করাটা কঠিন, কিন্তু অনুভব করতে পারবেন।'