‘নিজের অবস্থান জানাতে অনেক কথা বলতে হবে, যা অনেক ভেতরের কথা’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দলে বড় পরিবর্তনের আভাস আগেই মিলেছিল, হয়েছেও তেমনই। চোটগ্রস্ত ক্রিকেটার বাদে বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়েছেন চারজন। বাদ পড়ার তালিকায় আছেন মুশফিকুর রহিমও। যদিও প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, টেস্টের কথা মাথায় রেখে মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরদিনই সংবাদমাধ্যমকে মুশফিক জানান, বিশ্রাম নয়; তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মুশফিকের দাবি, নির্বাচকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তার অবস্থান জানিয়েছিলেন। খেলার জন্য যে তিনি প্রস্তুত, সেটা নির্বাচকদের জানান তিনি। বিশ্রামের কোনো আলোচনাই ছিল না সেখানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের বাদ পড়ার বিষয়টিই ওঠে সবার আগে। এ নিয়ে পাঁচ-ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। কিন্তু কোনো প্রশ্নের উত্তরেই পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি।
মুশফিকের দলে থাকা না থাকা নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কী অবস্থান ছিল? তার মতামত নেওয়া হয়েছে? কিংবা মুশফিককে দলে রাখতে অধিনায়ক হিসেবে নিজের যুক্তি দেখিয়েছেন কিনা মাহমুদউল্লাহ? এতগুলো প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদউল্লাহ বারবার টিম ম্যাজেনমেন্টের কথাই বলেছেন।
পাশাপাশি নিজের অবস্থান নিয়ে কিছু বলতে চান না তিনি। অবস্থান জানাতে অনেক কথা বলতে হবে, যা অনেক ভেতরের কথা। যেসব বলা উচিত নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'আমার অবস্থান নিয়ে যদি আমি কিছু বলতে চাই, তাহলে অনেক কিছু বলতে হবে। যেটা অনেক ভেতরের কথা। যাই হোক আমার কাছে মনে হচ্ছে না এটা এখন বলা উচিত। আর আমার মনে হয় এই মুশফিক প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট।'
মুশফিক সংবাদমাধ্যমে কী বলেছেন, সেটা জানেন না মাহমুদউল্লাহ। যে কারণে এই বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি, 'এটা টিম ম্যানেজমেন্টের কাউকে প্রশ্ন করলে সম্ভবত ভালো হবে। মুশফিক কী বলেছে, আমি নিজেও জানিনা। আগে দেখি, তারপর সম্ভবত এ নিয়ে কিছু বলতে পারব।'
মুশফিকের বাদ পড়া, সেখানে নিজের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য না করলেও মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, মুশফিককে মিস করবে দল। অধিনায়কের ভাষায়, 'এটা পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। আমি নিজে এই মুহূর্তে আসলে এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি যে আমরা অবশ্যই মুশফিককে মিস করতে যাচ্ছি।'