‘ধান ক্ষেতে খেলতে দিলে ওখানেও খেলতে হবে’
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটা ভালো যায়নি বাংলাদেশের। হার তো আছেই, আছে সুযোগ হারানোর হতাশাও। ম্যাচের কিছু অংশে এগিয়ে থেকেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। অনেকটা পিছিয়ে থেকেই মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে মুমিনুল হকের দল। এই টেস্টের আগেও যথারীতি আলোচনায় উইকেট। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না মুমিনুল। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, ধান ক্ষেতে খেলতে দিলেও সেখানে খেলতে হবে তাদের।
চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে সবই ছিল। ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছেন, স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন, আবার পেসারদের দাপটও কম ছিল না। মিরপুরের উইকেটও কি এমন হবে? উত্তরে মুমিনুল জানালেন, পাকিস্তান উপমহাদেশের দল হওয়ায় স্পিন উইকেট না হওয়াই ভালো। তাই ফ্ল্যাট উইকেটই চাওয়া বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের।
ম্যাচ শুরু আগের দিন ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, 'আপনারা সবাই জানেন উপমহাদেশের দলগুলো স্পিন খুব ভালো খেলে। আমার কাছে মনে হয় উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে স্পিন উইকেটে না খেলাই উচিত। অন্যান্য সব দলই তাই করে। আমার মনে হয় ফ্ল্যাট উইকেটই ভালো।'
আবার ফ্ল্যা্ট উইকেটই যে হতে হবে, সেটাও বলছেন না মুমিনুল। পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ায় যেকোনো উইকেটে খেলতে প্রস্তুত তারা। মুমিনুলের ভাষায়, 'একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট নিয়ে অজুহাত দেওয়াটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি নিজেও এর সঙ্গে কখনও একমত হই না। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ধান ক্ষেতে খেলতে দিলে ওখানেও খেলতে হবে। এসব অজুহাত দিসেবে দাঁড় না করিয়ে জয়ের জন্য পেশাদার হলে আরও একটু ভালো হয়।'
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রায়ই উইকেট নিয়ে কথা বলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অজুহাতের পর্যায়েও পড়ে যায়। তবে কি তারা পেশাদার হয়ে উঠতে পারেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, 'আমার কাছে তেমনটা মনে হয় না। শুধু উইকেট নিয়েই তো পেশাদারিত্ব নয়। অন্য অনেক কিছু আছে।'
'শৃঙ্খলা, ভালো মতো অনুশীলন, নির্দিষ্ট অনুশীলন, প্রতিপক্ষ চিন্তা করে কীভাবে শক্তি-দূর্বলতা অনুযায়ী অনুশীলন করা যায়, এসব মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্বের ব্যাপারটা। আমার কাছে মনে হয় আপনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা নয়। সবাই পেশাদারিত্ব দেখাচ্ছে, হয়তো কেউ সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।' যোগ করেন মুমিনুল।