‘জয়-পরাজয় থাকবেই, ভাবার কিছু নেই’
খেলাধুলায় জয়-পরাজয় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এক দলের পাশে জয়ী লেখা হলে অন্য দল পরাজয়ের কাতারে। এ নিয়ে বেশি কিছু ভাবার সেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এটাই মনে করিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ক্রিকেটারদের তোলা হচ্ছে কঠগড়ায়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যেমন বলে দিয়েছেন, 'এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সবার কাছেই জবাবদিহি চাইব।'
বাংলাদেশের হারে সবখানে যখন হায় হায় রব, সাকিব তখন সতীর্থদের কাঁধে হাত রাখছেন। ২০ বছরে কোনো উন্নতিই হয়নি- ম্যাচের পর টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের এমন স্বীকারোক্তি দিলেও সাকিব বলছেন সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে।
'ফ্রেন্ডশিপ' নামের একটি বেসরকারি সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হয়েছে সাকিব। ১৯ বছর ধরে চর ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের সাহায্যে কাজ করে আসছে সংস্থাটি। এই সংস্থার একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সোমবার বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলেন সাকিব।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, 'আজ ভেবেছি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলব না, তবু বলতে হচ্ছে। হার কাম্য নয়। তবে শুধু ক্রিকেটে নয় সকল খেলাধুলাতে হার-জিত থাকবে। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আর আমাদের উন্নতি যে হয়নি সেটিও নয়, সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে।'
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। কিন্তু বাঁ ঊরুর পেশিতে চোটের কারণে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন মাঠ ছাড়া সাকিব আর ফিরতে পারেননি। বাকি তিন দিন তাকে দর্শক হয়েই থাকতে হয়। ইনজুরির অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঢাকা টেস্টেও সাকিবকে দলে পায়নি বাংলাদেশ।