‘খালেদ-এবাদত আগে বেশি বোলিং করতে চাইতো না’

আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ; জাতীয় দলের ডানহাতি এই তিন পেসার সব সময়ই টেস্টের বিবেচনায় থাকেন। রাহি বেশ আগে থেকেই সাদা পোশাকে বাংলাদেশের অটো চয়েজ। এবাদতও জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন ধীরে ধীরে। খালেদের লক্ষ্যও অভিন্ন। তাই তিনজনের লড়াইও একই পথের।
এই তিন পেসারের মধ্যে দারুণ মিল। তিনজনই ডানহাতি পেসার, তিনজনেরই প্রধান লক্ষ্য টেস্ট দলে নিয়মিত হওয়া। তাদের শেকড়ও এক; রাহি, এবাদত, খালেদরা উঠে এসেছেন সিলেট থেকে। তিনজনের মাঝে তাই দারুণ এক সম্পর্ক। নিজেদের প্রস্তুত করার মিশনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনুশীলনে ঘাম ঝরান জাতীয় দলের এই তিন ক্রিকেটার।
করোনাকালে যখন মাঠে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না, তখনও এক সঙ্গে সিলেটে অনুশীলন করেছেন রাহি, এবাদত ও খালেদ। এই মিশনে এবাদত ও খালেদকে পথ দেখিয়েছেন সিনিয়র 'রাহি'। এই কাজটি তিনি সব সময়ই করে থাকেন। এক ছন্দে পা ফেলে আসায় এবাদত-খালেদকে ভালোভাবেই চেনেন রাহি। চেনাজানা থাকার কারণেই টেস্টের নিয়মিত এই সদস্য জানালেন, এবাদত-খালেদ আগে বেশি বোলিং করতে চাইতেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে অনুশীলন করে আসছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে রাহি বলেন, 'অনেক সময় আমরা তিন পেস বোলারই খেলি, অনেক সময় বোলিং করেছি। আমি আগেও বলেছি যতো বেশি বোলিং করব, ততো বেশি শিখব। এবাদত, খালেদ আগে বেশি বোলিং করতে চাইতো না। এখন যেটা হয়েছে, আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি, তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে।'
দারুণ সম্পর্ক থাকলেও রাহি-এবাদতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। নিজ নিজ জায়গা থেকে দলে সুযোগ করে নেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার মাঝেই। রাহি বলেন, 'নিজেদের ভেতরে একটা প্রতিযোগিতা আছে। আমাদের এই তিন পেস বোলারের টেস্টে সুযোগ করে নেওয়ার কারণ হলো সিলেট ডিভিশনে আমাদের প্রাধান্য দেওয়া। আমাদের প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই আমরা তিনজন এই জায়গায়।'
তিনজনই সাধারণত টেস্ট খেলে থাকেন। যে কারণে অনেক সময় থাকতে হয় অপেক্ষায়। এ সময়ে নিজেদের ঠিক পথে রাখতে অনুশীলন চালিয়ে যান তারা। রাহি বলেন, 'দীর্ঘ সময়ে মোটিভেশন ধরে রাখতে নিজেদের মাঝে অনুশীলন করেছি। আমি, এবাদত ও খালেদ অনুশীলন চালিয়ে গেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, যখন ক্রিকেট শুরু হবে যেন আমারা বোলিংয়ে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি।'