‘করোনা প্রমাণ করলো গোলাবারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি বেশি’
পুরো বিশ্ব পরিণত হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। এই যুদ্ধে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে এ যুদ্ধে নেই কোনো পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ। প্রাণঘাতী এই লড়াইয়ে পুরো বিশ্বের প্রতিপক্ষ একটাই, করোনাভাইরাস। প্রতিপক্ষ শিবির ধেয়ে আসছে দেখলে অন্তত নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করা সম্ভব, কিন্তু এখানে সেই সুযোগও নেই।
বাতাসে ভেসে ভেসে মানবশরীরে জায়গা করে নিচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তাতে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। অদৃশ্য এই প্রতিপক্ষকে হারাতে পারছে না মানুষের তৈরি গোলাবারুদ কিংবা কোনো অস্ত্র। এসব কোনো কাজেই আসছে না।
মানুষের ভালোবাসা করোনাকে রুখতে পারে। ভালোবাসা মানুষের মাঝে দায়িত্ববোধ বাড়ায়। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই ডাক্তার-নার্সরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই করোনাযুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন তারা।
এমন দৃশ্য মানবতারই জয়গান গাচ্ছে। তাই তো মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, গোলাবারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের সাবেক এই অধনায়ক লিখেছেন, 'করোনাভাইরাস প্রমাণ করলো গোলাবারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি।'
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই যুদ্ধে শামিল আছেন মাশরাফি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক।
ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি দুই জায়গা থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মহীন মানুষদের সাহায্য করতে বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করেছেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নে নড়াইলে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও মাথায় রেখেছেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নেই নড়াইলের ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুয়েপমেন্ট) দিয়েছেন তিনি। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।