‘আর চাওয়া নেই’; এবার দায়িত্ব ছাড়ছেন রবি শাস্ত্রীও
কদিন আগে গুঞ্জন ওঠে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়বেন বিরাট কোহলি। গুঞ্জনের পুরোটা সত্যি হয়নি, শুধু টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছেন কোহলি। টেস্ট এবং ওয়ানডের অধিনায়কত্বে আরও মনোযোগী হতেই তার এই সিদ্ধান্ত। অধিনায়কের কয়েকদিন পর দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানালেন কোচ রবি শাস্ত্রীও।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শাস্ত্রী। কোচ হিসেবে নিজের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে বেশি কিছু পেয়েছেন বলে মনে করেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। এবার তাই থামতে চান। তবে শেষ বেলায় জিততে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। তার মতে, শেষটা এমন হলে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলাপচারিতায় শাস্ত্রী বলেন, 'এ রকমই মনে হয় আমার (বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব ছাড়া)। কারণ, যা কিছু চেয়েছি, সবই অর্জন করেতে পেরেছি আমি। পাঁচ বছর টেস্টের এক নম্বরে থাকা, অস্ট্রেলিয়ায় দুটি সিরিজ জয়, ইংল্যান্ডে জয়! এই গ্রীষ্মের শুরুতে মাইক আথারটনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল আমার। তাকে বলছিলাম, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদেরকেকে হারানো এবং এই সময়ে ইংল্যান্ডে জয়- আমার কাছে এটাই চূড়ান্ত।'
চাওয়ার সবই পূরণ হয়েছে, শেষ চাওয়াটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছুঁয়ে বিদায় নেওয়া। ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, 'সাদা বলের ক্রিকেটে সব দলকেই তাদের ঘরের মাটিতে হারিয়েছি আমরা। এবার যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারি, তাহলে তা দারুণ হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু নেই।'
কখন থামতে হবে, সেটা জানা জরুরি বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তার ভাষায়, 'আমি সব সময় বিশ্বাস করি যে, অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠার আগেই সরে যাওয়া উচিত। আমি বলব, এই দলকে নিয়ে আমি যা করতে চেয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়াতে তাদের ঘরের মাটিতে হারানো এবং কোভিডের সময়ে ইংল্যান্ডে সিরিজে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটে আমার চার দশকের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।'
ভারতীয় দলে শাস্ত্রীর কোচিং অধ্যায়ের শুরু সহকারী কোচ হিসেবে। বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা শাস্ত্রী ২০১৪ সালের আগস্টে ভারতের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর এই দায়িত্ব পালনের পর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের চুক্তিতে ভারতের প্রধান কোচ হন তিনি। ২০১৯ সালে আগস্টে শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি করে বিসিসিআই, চুক্তির মেয়াদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।