২০৩০ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হতে চায় সৌদি আরব
ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। দুই দেশের মাঝের দূরত্ব ২২৫০ মাইল হলেও, সে কথা মাথায় না রেখেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে উপসাগরীয় দেশটি।
এই মুহূর্তে ২০৩০ বিশ্বকাপের নিলামের প্রক্রিয়া একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যও ২০৩০ সালে ফুটবলকে 'ঘরের মাঠে' নিয়ে আসতে ইচ্ছুক।
কিন্তু ততদিনে ফুটবল বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮ টি দেশ এবং অনুষ্ঠিত ম্যাচের সংখ্যা হবে ৮০ টি। অর্থাৎ একাধিক দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করাটাই ফিফার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হবে।
দ্য আটলান্টিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বোস্টন কনসালটেন্সি গ্রুপ এর সাহায্য নিয়ে যৌথ আয়োজক হওয়ার দৌড়ে নেমেছে সৌদি আরব। যদিও এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে দূরত্বের বিশাল ব্যবধান সত্বেও, ইতালিকেই সম্ভাব্য প্রার্থী ধরা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, 'মেনা' (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) নিলামের আওতায় মরক্কো ও মিশরের সঙ্গে সহ-আয়োজক হওয়ার পরামর্শও পেয়েছে সৌদি আরব।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ক্রীড়া খাতকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। প্রতিবেশী দেশ কাতারকে আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক হতে দেখেও টনক নড়েছে সৌদি আরবের। তবে মানবাধিকার বিষয়ে দুর্নাম থাকা সত্বেও, ক্রীড়া খাতে সৌদির মাত্রাতিরিক্ত খরচ বা 'স্পোর্টসওয়াশিং' নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন সমালোচকরা।
মানবাধিকার সংস্থা গ্রান্ট লাইব্রেরি সূত্র জানায়, হাই-প্রোফাইল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর পেছনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সৌদি আরব।
এদের মধ্যে আছে অ্যান্ডি রুইজ জুনিয়রের সাথে অ্যান্থনি জশুয়ার হেভিওয়েট বক্সিং, গলফ টুর্নামেন্ট 'ইউরোপিয়ান ট্যুর', ফর্মুলা ওয়ান এর মত ইভেন্ট। এছাড়াও গত বছর দেশটির 'পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড' নিউক্যাসল ইউনাইটেডের নিলামের পেছনে ৩০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে, যা ব্যর্থ হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়া বিষয়ক খাতে ইতালি ও সৌদি আরব, দুই দেশই যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে সর্বশেষ দুটি ইতালীয় সুপার কাপ ফাইনালের আয়োজক হয়েছে সৌদি আরব এবং এবছরও তারাই হবে আয়োজক।
অন্যদিকে ইউরো ২০২০ বিজয়ী ইতালিরও চারটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে। এবারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কিছু ম্যাচের আয়োজকও ছিল তারা।
তবে সবকিছুর পরও, মানবাধিকার বিষয়ে সৌদি আরবের দুর্নাম থাকায় বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়াটা তাদের জন্য কঠিনই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদির সংশ্লিষ্টতাও বিতর্কের আরেকটি কারণ।
- সূত্র: ডেইলি মেইল