হতাশার পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার বাংলাদেশের
প্রথমে হতাশার ব্যাটিং। তখনই হয়তো হার দেখতে পাচ্ছিল বাংলাদেশ। এরপর বল হাতে দারুণ শুরুর পর ক্রমেই নিস্তেজ হতে থাকলো বাংলাদেশ দল। চললো ক্যাচ মিসের মহরা। এতে যা হওয়ার কথা, সেটাই হলো। আরেকটি হতাশার গল্প লিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার মেনে নিল বাংলাদেশ।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আগামী ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো নিয়ম রক্ষার ম্যাচে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করকে নামে বাংলাদেশ। গত কয়েক ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে উল্টো পথে হাঁটে বাংলাদেশ। দুই একজন ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউই রানের দেখা পাননি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর কিছুটা লাইয়ে ৮ উইকেটে ১০৭ রান তোলে বাংলাদেশ।
জবাবে শুরুতেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারালেও কোনো চাপ বুঝতে হয়নি পাকিস্তানকে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ম্যাচসেরা ফকর জামানের ব্যাটে ১৮.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করে পাকিস্তান। এতে অবশ্য লাভ হয়নি। তৃতীয় ওভারে বাবর আজমের স্টাম্প উপড়ে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাকিস্তান অধিনায়ককে ফিরিয়ে তাদেরকে চেপেই ধরে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে ৬ ওভার থেকে মাত্র ২৭ রান তোলে সফরকারীরা।
রান তোলার গতি কম থাকলেও পাকিস্তানকে ভাবতে হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন রিজওয়ান-ফকর। এই জুটিতে জয়ের একেবারে কাছে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এ সময় ৪৫ বলে ৪টি চারে ৩৯ রান করে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে আউট হন রিজওয়ান।
হায়দার আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়েন বন্দরে নিয়ে যান ফকর। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। হায়দার অপরাজিত ৬ রান করেন। বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ও বিপ্লব একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানকে হারায়। শুরুর চাপ কাটিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এই জুটি ভাঙার পর আবারও খোলসবন্দি হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২১ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন আফিফ। এরপর ১২ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক পাশ ধরে খেলে যাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দলীয় ৮০ রান পরিয়ে আউট হন।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৫টি চারে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদি এদিন রান করতে পারেননি। সোহান ১১ ও মেহেদি ৭ রান করেন। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮ ও তাসকিন আহমেদ ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। লেগ স্পিনার শাদাব খানের শিকারও ২ উইকেট। এ ছাড়া মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ একটি করে উইকেট নেন।