শ্রীলঙ্কার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিসিবি
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ খবর বেশ আগের। শ্রীলঙ্কা সফর নিশ্চিত হওয়ারও বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও কয়েকটি বিষয় চূড়ান্ত হওয়ার বাকি। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা, ম্যাচের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এসব সিদ্ধান্তের জন্য এখনও অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রাথমিকভাবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৪ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। প্রথম দুই টেস্ট ক্যান্ডি এবং তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোয়। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। একইভাবে কোয়ারেন্টিনের বিষয়টিও ঝুলে আছে।
বিসিবি কোনোভাবেই সাত দিনের বেশি কোয়ারেন্টিন করতে চায় না। বিষয়টি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে জানিয়েছে বিসিবি। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় সফর করলে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। বিসিবির চাওয়ার গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে শ্রীলঙ্কা। তারা কোয়ারেন্টিন কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার মিরপুরে তিনি বলেন, 'শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে যে, তারা তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা চেষ্টা করছে সময়টা যতটা কমিয়ে নিয়ে আসা যায়। প্রত্যেক দেশেই বৈশ্বিক মহামারির কারণে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। শ্রীলঙ্কাতেও বিভিন্ন নিয়মকানুন জারি হয়েছে। আমাদের দল যখন সফর করবে, সেই কথা চিন্তা করে কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কতটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়, নিজেদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা।'
বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিকভাবে সাতদিনের কোয়ারেন্টিনের কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এরপরই নির্ধারিত কার্যক্রম শুরু করা যাবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, 'সর্বশেষ যখন আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তারা বলেছে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপর আমাদের নির্ধারিত কার্যক্রম শুরু করতে পারব। আমরা পজেটিভ সাড়াই পেয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের কাছ থেকে।'
সাত দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশ কি সফরটি বাতিল করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'এখনও আমরা এই বিষয়ে চিন্তা করিনি। শ্রীলঙ্কা যতটা জানিয়েছে, হয়তো সর্বোচ্চ সাতদিন থাকতে হবে। সেভাবেই আলোচনা হচ্ছে। আমরা আশা করছি সাতদিনের মধ্যেই যদি সীমাবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেভাবেই এগোতে পারব। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সাড়া পেলে তারপর আমরা এই ব্যাপারে কথা বলব।'
বিসিবি অবশ্য বসে নেই, নিজেদের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। প্রধান নির্বাহী বলেন, 'আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। আমাদের ট্রাভেল বুকিং, অনুশীলন পরিকল্পনা, ঢাকায় আমরা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করব; এগুলো আমরা পরিকল্পনা করে রেখেছি। সেভাবেই আমাদের কার্যক্রম চলছে।'