শেষ হলো সানা মীর অধ্যায়
শেষটা ঝাপসা হয়ে উঠেছিল। অনেক হাতড়েও তাই আগের ছন্দ মিলছিল না। এতে দল থেকে বাদও পড়তে হয়। সানা মীর বুঝতে পেরেছিলেন, বিদায় বলে দেওয়ার এটাই সময়। সেটাই করলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন পাকিস্তান জাতীয় নারী দলের এই ক্রিকেটার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সানা মীর। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক দেশের হয়ে ২২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।
সানা মীর তার অবসরের ঘোষণায় বলেছেন, 'গত কয়েক মাস চিন্তা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি উপলব্ধি করেছি, সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। বিশ্বাস করি, দেশ ও খেলাটির জন্য সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছি।'
বিদায় বলে দিলেও সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারছেন তিনি। নারী ক্রিকেটের দারুণ সব গল্পের অংশ হওয়া সানা মীর আরও বলেন, 'এটা আমাকে অত্যন্ত সন্তুষ্টি দেয় যে আমি নারী ক্রিকেটের দুর্দান্ত সাফল্যের গল্পের অংশ হয়েছি।'
৩৪ বছর বয়স বয়সী পাকিস্তানের এই নারী ক্রিকেটার ২০১৮ সালে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেন। তার নেতৃত্বে ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জেতে পাকিস্তান। সানা মীরের নেতৃত্বে ২০০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৩৭ ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের মেয়েরা।
উপমহাদেশে নারী ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার পেছনে যাদের অবদান আছে, সানা মীর তাদের মধ্যে অন্যতম। পাকিস্তানে নারী ক্রিকেটের প্রসারেও তার অবদান মনে রাখার মতো। ২০০০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে খোলা মাঠে নারীদের খেলার অনুমতিই ছিল না।
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সানা মীরের পথচলা শুরু। ওই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ২০০৯ সালে আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়।
২২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সানা মীর দুই ফরম্যাট মিলিয়ে রান করেছেন ২ হাজার ৪৩২। উইকেট নিয়েছেন ২৪০টি। ওয়ানডেতে তার উইকেট ১৫১টি, যা পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং নারী ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ।