শেষ বিকেলে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে পাঁচদিনও এখন কম মনে হতে পারে। দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি, এরই মধ্যে তিনদিন শেষ। অবস্থা এখন এমন যে, স্কোরকার্ডে চোখ রাখলেই যেন সবাই নিশ্চিত ড্র দেখতে পাচ্ছেন। এই ড্র দেখাতেও অবশ্য স্বস্তি মেলার কথা। কারণ এই দলটিই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল।
সেই বাংলাদেশকেই শ্রীলঙ্কা সফরে দাপুটে চেহারায় দেখা যাচ্ছে। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে পুরো দুদিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনেরও কিছুটা অংশ ব্যাটিং করে ইনিংস ঘোষণা করেন মুমিনুল হক। ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।
পরে বল হাতেও মিলেছে উইকেট। ২২৯ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকরা ২২৯ রান তোলার পরও বাংলাদেশ এগিয়ে ৩১২ রানে। তৃতীয় দিন শেষে তাই বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির হাওয়া। সময়ের কারণে এই মুহূর্তে জয়ের পরিকল্পনা সাজানো না গেলেও বাংলাদেশকে অন্তত এখনই হারের চিন্তা করতে হচ্ছে না। বরং শেষ বিকেলে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে মুমিনুল হকের দলই কিছুটা এগিয়ে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের জবাবে শ্রীলঙ্কার শুরুটা দারুণ হয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৪ রান যোগ করেন লাহিরু থিরিমান্নে ও দিমুথ করুনারত্নে। থিরিমান্নেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২৫ বলে ৮টি চার ৫৮ রান করেন থিরিমান্নে। এরপর ওশাদা ফার্নান্দোকে নিয়ে এগোতে থাকেন করুনারত্নে।
যদিও এই জুটি দীর্ঘ হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ২০ রান করা ওশাদাকে ফিরিয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং শুরু করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম। দারুণ এক ডেলিভারিতে ম্যাথুসের স্টাম্প ভাঙেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার। ২৫ রান করে বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন করুনারত্নে। লঙ্কান অধিনায়ক ২১১ বলে ৮টি চারে ৮৫ রান করে অপরাজিত আছেন। ধনঞ্জয়া ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুল একটি করে উইকেট নেন। দুই পেসার পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন এখনও উইকেটের সন্ধানে।
এরআগে ৪৭৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। এদিন আরও ৬৭ রান যোগ করে মুমিনুল হকের দল। দ্রুত গতিতে ব্যাট চালিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ৬৭ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রান করে আউট হন লিটন। এটা তার অষ্টম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর রান তুলতে মুশফিককে একাই ব্যাট চালাতে হয়। মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা দ্রুতই আউট হয়ে যান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুশফিক ১৫৬ বলে ৬টি চারে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। লঙ্কান বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। সুরঙ্গ লাকমল, লাহিরু কুমারা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা একটি করে উইকেট নেন।