শীর্ষের তালিকায় মেসি-রোনালদোদের সঙ্গে কোহলি
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল বৈশ্বিক সব ধরনের খেলাধুলা। লম্বা বিরতির পর লকডাউন ভেঙে মাঠে খেলা ফিরতে শুরু করলেও খেলোয়াড়দের আয়ের উৎস ঠিক হতে আরও সময় লাগবে। লকডাউন অবস্থায় এন্ডোর্সমেন্ট, স্পন্সরশিপ থেকে খেলোয়াড়দের আয় ছিল না বললেই চলে। উল্টো সবার ভালোর কথা ভেবে অনেকেই নিজেদের বেতনের অনেকটা ছেড়ে দিয়েছেন।
কঠিন এই সময়ের মাঝেও অবশ্য অনেক খেলোয়াড়ের আয় হয়েছে। এই সময়েও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে লাখ লাখ ডলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্ট থেকে বড় অঙ্কেরই আয় হয়েছে তাদের।
গত বছর সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছিল ফোর্বস। শীর্ষ ১০০জন খেলোয়াড়ের তালিকার দুই নম্বরে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালেদো। এর কদিন পর ফুটবলারদের মধ্যে প্রথম বিলিওনিয়ার হয়েছেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ এই ফুটবল তারকা।
এবার ইনস্টাগ্রামের আয়েও সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদো। ১২ মার্চ থেকে ১৪ মে; এই সময়টায় কোন খেলোয়াড়ের আয় বেশি ছিল তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে অ্যাটেইন নামের একটি ওয়েবসাইটে। তাদের হিসাবে রোনালদো সবার চেয়ে এগিয়ে।
দুই নম্বরে আছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। তিন নম্বরে ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমার। শীর্ষ দশে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। ভারতের অধিনায়ক আছেন ছয় নম্বরে। এরআগে ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ আয় করা খেলোয়াড়ের তালিকাতেও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন কোহলি।
লকডাউনের এই সময়ে রোনালদোর আয় ১৮ লাখ ৮২ হাজার পাউন্ড ( প্রায় ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা)। স্পন্সর করা চারটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে এই আয় হয়েছে তার। স্পন্সর করা পোস্ট থেকে মেসির আয় ১২ লাখ পাউন্ড (১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা)। ১১ লাখ পাউন্ড আয় হয়েছে নেইমারের (১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা)।
চার নম্বরে আছেন আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় শাকিলও ও'নিল। তার আয় ৫ লাখ ৮৩ হাজার পাউন্ড। পাঁচ নম্বরে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। সাবেক এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের আয় ৪ লাখ ৫ হাজার পাউন্ড। ছয় নম্বরে থাকা কোহলির আয় ৩ লাখ ৭৯ হাজার পাউন্ড। স্পন্সর করা প্রতি পোস্ট থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার পাউন্ডের মতো আয় হয়েছে তার।