শান্ত-মুমিনুলদের ব্যাটে ঝলমলে এক দিন
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারানোর পর কে ভেবেছিল দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে জমা হবে ৩০২ রান! সেটাও কিনা মাত্র ২ উইকেটে! কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা আর গোনায় নেই। কীভাবে দিনটা শেষ হলো, সেখানেই সবার চোখ এখন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা দারুণ কাটলো বাংলাদেশের।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দারুণ এই পথটা তৈরি করেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে পথটা চিনে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জুটিতে ১৪৪ রান। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে শান্তর ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তাতে ৩০২ রান তুলে প্রথম ইনিংসে রান পাহাড় গড়ার দিকে নজর বাংলাদেশের।
দারুণ সব শটে ইনিংস বড় করেও তামিম ইকবাল পারেননি সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে। বাঁহাতি এই ওপেনার ১০১ বলে ১৫টি চারে ৯০ রান করে আউট হন। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। ২৮৮ বলে ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় ১২৬ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছেন তিনি। ১৫০ বলে ৬টি চারে ৬৪ রান করে অপরাজিত আছেন মুমিনুল। বাংলাদেশের যাওয়া দুটি উইকেটই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো।
টস জিতে সবুজ উইকেটে আগে ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জ নেন মুমিনুল হক। শুরুতে মনে হয়েছিল আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত হয়তো ভোগাবে বাংলাদেশকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ ওপেনার সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে দেন বিশ্ব ফার্নান্দো। রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ।
শুরুতেই দিক হারানো দলকে টেনে তোলার কাজটি নেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুর ধাক্কা সামলে তামিম ইকবালের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন শান্ত। যা শেষ ১২ বছরে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি। তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। অগ্রজের বিদায়ে দিক হারাননি শান্ত, অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে বাধেন জুটি।
এই জুটি গড়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৩৫ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। সেঞ্চুরি করার পথে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লম্বা ইনিংস খেলে ফেলেন বাংলাদেশের তিনি। এরআগে টেস্টে সর্বোচ্চ ১৩৯ বল মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা ছিল শান্তর। এরপর দিনের বাকিটা সময় সাবলীল ব্যাটিং করেই পার করে দেন শান্ত-মুমিনুল।