লিটনের ব্যাটে রান, মিরাজের তিন উইকেট
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ভালোই ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন হলো বাংলাদেশের। প্রথম দিন ব্যাটসম্যানদের দখলে থাকলেও দ্বিতীয় দিন বোলাররা দারুণ বোলিংয়ে অনুশীলন সেরেছেন। এদিনও ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন একেবারে মন্দ হয়নি।
কাতুনায়েকের সিএমসিসি গ্রাউন্ডে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে খেলা দুই দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করেছে সবুজ দল। ৭১ ওভারে ২২৫ রান তোলে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সবুজ দল। হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। রান পেয়েছেন মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুনরা।
প্রথম দিন পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের শাসন ছিল। তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুশফিকুর রহিমদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি সবুজ দলের বোলাররা। তবে লাল দলের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ঠিকই উইকেট শিকার করেছেন। ডানহাতি এই স্পিনার ৪১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম।
৬৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। এরপর আবার সাত নম্বরে ব্যাটিয়ে যান লিটন। আরও ৩৭ রান যোগ করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ৪৭ রান করেন। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ২৮ রান। তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ২০ রান অপরাজিত থাকেন।
আগের দিন ৭৯.২ ওভারে লাল দল ৬ উইকেটে ৩১৪ রান তোলে। দিনের শেষভাগে একটি উইকেট পান শুভাগত হোম। সবুজ দলের এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও নাঈম হাসান উইকেটশূন্য থাকেন। লাল দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন।
লাল দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেন। ৫৩ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৩ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ ওপেনার। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য ধীর-স্থির ব্যাটিং করেন। ১১১ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রান করে ব্যাটিং ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
সাইফ হাসান ৯৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রান করে ব্যাটিং ছাড়েন। তামিমের মতো মুশফিকুর রহিমও দ্রুত রান তোলেন। অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৮২ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ৪৮ রান করে ব্যাটিং ছাড়েন। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে।