রোমাঞ্চকর লড়াই জিতে সেমির পথে পিএসজি
সাত মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ম্যাচ হেরে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নেইমার। সেই বায়ার্নকে একই আসরে পেয়ে এবার জ্বলে উঠলেন নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। রোমাঞ্চকর এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দলের হয়ে দুটি গোল করেন এমবাপ্পে। বাকি গোলটি করেন মার্কিনিয়োস। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে গোল করেন এরিক মাক্সিম চুপো মোটিং ও টমাস মুলার।
গত আসরের ফাইনালে হারের প্রতিশোধটা কোয়ার্টার ফাইনালেই নিয়ে নিলো পিএসজি। সেটাও কিনা বায়ার্নের মাঠেই! পরের লেগে ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে নেইমার-এমবাপ্পেদের দল। দ্বিতীয় লেগে জিততে পারলে গত আগস্টে ১-০ গোলের ফাইনাল হারের প্রতিশোধটা ভালোভাবেই নেওয়া হবে পিএসজির।
বায়ার্নের বিপক্ষে জয়ে এমবাপ্পে ও মার্কিনিয়োস গোল করেছেন। নেইমার কোনো গোলের দেখা পাননি। তবে ম্যাচজুড়ে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রভাব। অসাধারণ ফুটবল খেলে দলের দুটি গোলে অবদান রাখেন তিনি।
ম্যাচের তিন মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্ন। কিন্তু এরিক মাক্সিম চুপো মোটিংয়ের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এমবাপ্পে অবশ্য ভুল করেননি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই বায়ার্নের জালে বল পাঠান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। নেইমারের বাড়ানো বলে জোরালো শটে গোল আদায় করে নেন এমবাপ্পে।
২৮তম মিনিটে আরও এগিয়ে যায় পিএসজি। মার্কিনিয়োস ব্যবধান দ্বিগুন করেন। দ্বিতীয় গোলেও আছে নেইমারের অবদান। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের উঁচু করে বাড়ানো বল খুঁজে নেন মার্কিনিয়োস। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পেনাল্টি স্পট কিকের কাছ থেকে দারুণ শটে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার।
গোল শোধে মরিয়া বায়ার্ন কিছুক্ষণ পরই ব্যবধান কমায়। ৩৭তম মিনিটে দারুণ এক হেডে পিএসজির জালে বলে পাঠান চুপো মোটিং। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি। ৬০ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। ৬৮তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। এই ব্যবধান আর কমাতে পারেনি বায়ার্ন।