রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ ভাগাভাগি পাকিস্তানের
বিশাল সংগ্রহ গড়েও স্বস্তি মিলছিল না পাকিস্তানের। ইংল্যান্ড এগিয়ে যাচ্ছিল জয়ের পথে। এরপর বেশ কয়েকবার রং পাল্টালো ম্যাচের। তবে বিবর্ণ হতে হয়নি পাকিস্তানকে। সিরিজের তৃতীয় শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে সফরকারী পাকিস্তান।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ করলো আগে টেস্ট সিরিজ হারা পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচটি জেতে ইয়ইন মরগানের দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ হাফিজ ও হায়দার আলীর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৯০ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে টম ব্যান্টন ও মঈন আলীর লড়াইয়ের পরও ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১ রানেই ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ২৬ রানে থামেন দাভিদ মালানও। তবে একপাশ আগলে ব্যাট চালান ব্যান্টন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক মরগান। ১০ রান করে বিদায় নেন তিনি।
ব্যান্টন ৪৬ রান করে আউট হলে ইংল্যান্ডের রানচাকা ঘুরিয়েছেন জীবন ফিরে পাওয়া মঈন আলী। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ইংলিশদের জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। যদিও তার ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। স্যাম বিলিংস ২৬ রান করেন। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি এবং ওয়াহাব রিয়াজ ২টি করে উইকেট নেন।
এরআগে পাকিস্তানের শুরুটাও ভালো ছিল না। দলীয় ২ রানেই ওপেনার ফকর জামানকে হারায় তারা। ২১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক বাবর আজমও। এরপরই অবশ্য ছন্দ পায় পাকিস্তান। হায়দার আলী ও মোহাম্মদ হাফিজ ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন।
হায়দার ৩৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন। সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা হাফিজ ছিলেন আরও দাপুটে। ৫২ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান ২টি এবং মঈন আলী ও টম কারেন একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৯০/৪ (বাবর ২১, হায়দার ৫৪, হাফিজ ৮৬*, শাদাব ১৫; মইন ১/১০, জর্ডান ২/১৯, কারান ১/৩২)।
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৫/৮ (ব্যান্টন ৪৬, মইন ৬১, বিলিংস ২৯, গ্রেগোরি ১২; শাহিন আফ্রিদি ২/২৮, ইমাদ ১/৩৫, রউফ ১/৪১, ওয়াহাব ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র
ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)
সিরিজ সেরা: মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)