রিয়ালের শিরোপা স্বপ্নে গেটাফের আঘাত
এল ক্ল্যাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পরের ম্যাচগুলোয় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শিরোপা স্বপ্নই বুনছিল জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। কিন্তু লিগে পরের ম্যাচেই হোঁচট খেতে হলো তাদের। গেটাফের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপা জয়ের পথটা কঠিন করে তুললো রিয়াল।
রোববারে রাতে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দল গেটাফের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ড্রয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান যেমন কমলো, তেমনি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়তে হলো স্প্যানিশ জায়ান্টদের।
৩১ ম্যাচে ২১ জয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ দুই নম্বরে। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে অবস্থান করছে। পরের ম্যাচে (৩১তম ম্যাচ) জিতলে এক পয়েন্টে রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে যাবে লিওনেল মেসির দল।
লা লিগায় টানা চার জয়ের পর পয়েন্ট হারানো রিয়াল গত সপ্তাহে দাপুটে ছিল। বার্সেলোনাকে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলকে হারিয়ে শেষ চারের টিকেট কাটে তারা। সময়টা ভালোই কাটছিল বেনজেমা-মদ্রিচদের। কিন্তু গেটাফের মাঠে খেলতে গিয়ে রিয়ালের সঙ্গী হলো চরম হতাশা।
গেটাফের বিপক্ষে বল দখলে এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদই। ম্যাচে ৫৯ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তারা। কিন্তু বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও গেটাফে পাল্লা দিয়ে আক্রমণ সাজিয়ে গেছে। বরং রিয়ালের চেয়ে গেটাফেই বেশি আক্রমণ করে। গোলের উদ্দেশ্যে ১৯টি শট নেয় পয়েন্ট টেবিলের ১৫ নম্বরে থাকা দলটি। এর মধ্যে ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। সেখানে রিয়াল শটই নিয়েছে ১০টি, যার মধ্যে দুটি ছিল লক্ষ্যে।
যদিও এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে রিয়াল। বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলা দল থেকে সাতটি পরিবর্তন আনেন জিদান। করিম বেনজেমা ও টনি ক্রুসকে ছাড়াই একাদশ সাজানো হয়। গোলের দেখা না পেয়ে ৬৫তম মিনিটে বেনজেমা ও আন্তোনিও ব্লাঙ্কোকে মাঠে নামান রিয়াল কোচ। কিন্তু এই দুই পরিবর্তনেও ম্যাচের ফল নিজেদের দিকে আনতে পারেনি রিয়াল।