ম্যাচ পাতানোয় দোষী সাব্যস্ত আমিরাতের দুই ক্রিকেটার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাভিদ ও শাইমান আনোয়ারের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানো সংক্রান্ত অভিযোগ পুরনো। অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ম্যাচ পাতিয়েছেন তারা। বিষয়টি তদন্তাধীন ছিল। ম্যাচ পাতানো সংক্রান্ত অভিযোগে শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আরব আমিরাতের এই দুই ক্রিকেটার।
স্বাধীন দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানির পর তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় আমিরাতের তিন ক্রিকেটার নাভিদ, শাইমান ও কাদির আহমেদকে। শুনানির পর বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, নাভিদ ও শাইমানের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে, যার ঘোষণা সময় মতো দেওয়া হবে।
আইসিসির দূর্নীতি বিরোধী বিধির দুটি ধারা ভঙ্গের দায়ে নাভিদ ও শাইমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পর সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ফল প্রভাবিত করে এ দুজন ২ লাখ ৭২ হাজার ডলারের মতো আয় করতে পারতেন।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে নাভিদ বেশি বিপদে আছেন। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে। কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেই নয়, ২০১৯ টি-টেন লিগেও আইসিসির এই দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরব আমিরাতের ডানহাতি এই পেসার।
নিষিদ্ধ হওয়ার সময় আমিরাতের অধিনায়ক ছিলেন নাভিদ। দেশের হয়ে ৩৯টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ওয়ানডেতে আমিরাতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৩ উইকেটের মালিক তিনি। আরেক নিষিদ্ধ ক্রিকেটার সাইমান আমিরাতের হয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩২ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। দুই ফরম্যাটেই দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।