মেসিদের ছেড়ে গেলেন সুয়ারেজও
বার্সেলোনা থেকে ফুটবলার চলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। অবশ্য অন্যভাবেও বলা যায়, নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান দায়িত্ব নিয়েই অনেককে বিদায় বলে দিয়েছিলেন। এরপর একে একে বার্সা ছেড়েছেন ইভান রাকিটিচ, নেলসন সেমেডো, আর্তুরো ভিদাল। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন লুইস সুয়ারেজ।
ছয় বছরের বার্সা পর্ব শেষ করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছেন উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার। সুয়ারেজের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা।
দলের প্রতি ভালোবাসা ও নিবেদনের কারণে সুয়ারেজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বার্সেলোনা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের তাকে শুভ কামনাও জানিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। সুয়ারেজের একটি ছবি পোস্ট করে এক টুইটে বার্সা লিখেছে, 'শেষ ছয় বছরের জন্য ধন্যবাদ লুইস সুয়ারেজ।'
সুয়ারেজকে বিনামূল্যে ছেড়ে দিলেও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অ্যাটলেটিকোর কাছ থেকে ট্রান্সফ্রির ফি হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ ইউরো পেতে পারে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, দুই বছরের চুক্তিতে অ্যালেটিকোয় নাম লিখিয়েছেন সুয়ারেজ। ট্র্যাক্স বাদে বছরে ৯ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন তিনি।
২০১৪ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কামড়ে দিয়ে নিষিদ্ধ হন সুয়ারেজ। এরপর ফিরে আসেন নতুন রূপে। নিজেকে পুরোপুরি পাল্টে ফেলেন তিনি। এ বছরই যোগ দেন বার্সায়। ন্যু ক্যাম্পে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে দ্রুতই ভরসার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে বহু ম্যাচে বার্সার জয়ের নায়ক হয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দিয়ে কাতালানদের হয়ে ২৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন সুয়ারেজ। গোল করেছেন ১৯৮টি। যা বার্সার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার সামনে সাবেক স্প্যানিশ তারকা সিজার (২৩২) ও লিওনেল মেসি (৬৩৪)।
২০০৫ সালে উরুগুয়ের ক্লাব ন্যাসিওনাল দিয়ে সুয়ারেজের যাত্রা শুরু। পরের বছর পাড়ি জমান নেদারল্যান্ডসের ক্লাব গ্রোনিঙ্গেনে। এই ক্লাবে এক বছর খেলে ২০০৭ সালে নাম লেখান নেদারল্যান্ডসের আরেক ক্লাব আয়াক্সে। এই ক্লাবটির হয়ে চার বছর খেলা সুয়ারেজ ২০১১ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যান। এই ক্লাবটির হয়ে চারটি দারুণ মৌসুম কাটিয়ে বার্সায় যোগ দেন সুয়ারেজ।