মৃত ঘোষণার চার বছর পর জীবিত অবস্থায় ফুটবলারের সন্ধান
দুই-এক বছর নয়, চার বছর আগে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কঙ্গোর ফুটবলার হায়ানিক কাম্বাকে। চার বছর তো আর নেহায়েত কম সময় নয়, এতোদিনে তার নাম ভুলে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। ভক্তদের কাছে তো বটেই, পরিবারের সদস্যদের কাছেও অতীত হয়ে গিয়েছিলেন কাম্বা। কিন্তু হঠাৎ খবর এলো, হায়ানিক মারা যাননি। তিনি এখনও বেঁচে আছেন।
খুবই অদ্ভুত শোনালেও এমন ঘটনাই ঘটেছে। মৃত ঘোষণার চার বছর পর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে জার্মানির ক্লাব শ্যালকের হয়ে খেলা হায়ানিক কাম্বাকে। জার্মানির গণমাধ্যম জানিয়েছে, জার্মানিতেই জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে নিজ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর কাম্বাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চার বছর পর এসে জার্মানির গেলসেনকিরচেনে কঙ্গো ডিফেন্ডারকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এমন ঘটনায় তাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
হায়ানিক কাম্বা শ্যালকের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসেন। জার্মানির ক্লাবটির মূল দলের হয়ে কাম্বা ২০০৭-০৮ মৌসুম খেলেছেন। এ সময় তার সতীর্থ হিসেবে শ্যালকেতে খেলেছেন জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখ অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যার।
এরপর ভিএফবি হালসে নাম লেখান বর্তমানে ৩৩ বছর বয়সী কাম্বা। ২০১৬ সালে ভিএফবি হালসেই খেলছিলেন তিনি। সে সময় এই ক্লাবটি মর্মান্তিক এক সড়ক দূর্ঘটনায় কাম্বার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
চার বছর পর কাম্বার জীবিত থাকার খবরে হইচই পড়ে গেছে। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু হয়েছে কাম্বার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনই জানিয়েছেন আইনজীবি অ্যানেত্তে মিল্ক।
কাম্বার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কাম্বার ছয় অঙ্কের জীবন বীমার টাকা তুলে নেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। কাম্বার সাবেক স্ত্রীর দাবি, আইনসঙ্গতভাবেই তিনি জীবন বীমার টাকা তুলেছিলেন। ২০১৬ সালে কাম্বার মৃত্যুর প্রমাণও জমা দিয়েছিলেন তিনি।
চার বছর পর কাম্বার জীবিত থাকার ঘটনায় সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছে তদন্তকারীরা। কাম্বার মৃত্যুর জাল কাগজপত্র দিয়ে তিনি বীমার টাকা তুলেছিলেন কিনা, সেটা নিয়েই মূলত তদন্ত করা হচ্ছে। আইনজীবি মিল্ক বলেছেন, 'অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। যদিও সে সব অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।'