মুশফিক এখন ‘দেশসেরা’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নাজেহাল অবস্থা। এরপরই টেস্ট সিরিজ, যেখানে নেই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বুঝতে পেরেছিলেন, জুনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর দায়িত্ব থাকলেও আসল কাজ করতে হবে তাকে এবং মুশফিকুর রহিমকে।
অধিনায়ক মুমিনুল পারেননি, ৬ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪৯ রানের মধ্যে চারজনের বিদায়ে বাংলাদেশ যখন মাঝ দরিয়ায়, তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হন মুশফিক। তাকে নিয়ে অধিনায়কের বলা কথা মাথায় রেখেই যেন ইনিংস শুরু করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ৪৬ বল থেকে মাত্র ৫ রান তোলেন তিনি। এরপর যতোটা সময় গেছে, ব্যাট হাতে সাবলীল হয়ে উঠেছেন মুশফিক।
লিটন কুমার দাসের সঙ্গে জুটি বেধে খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে আলোর পথে ফেরান মুশফিক। দিনের প্রথমভাগের হতাশা ভুলিয়ে দিয়ে তারা গড়েছেন ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৪ উইকেটে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫৩ রান। দলকে শক্ত অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার পথে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করা লিটন অপরাজিত ১১৩ রানে, মুশফিক অপরাজিত ৮২ রানে। এই ৮২ রান দিয়ে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন মুশফিক।
দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৬৪ (৪৪ টেস্ট) রানের মালিক হয়েছেন মুশফিক। এ পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ওপেনার দেশের মাটিতে ৩৭ টেস্টে ২ হাজার ৬২০ রান করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে শীর্ষে থাকা তামিমের অবস্থান এখন দুই নম্বরে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন মুশফিক। সাগর পাড়ের এই স্টেডিয়ামে মুশফিকের রান ১ হাজার ২৭৬। যেকোনো এক ভেন্যুতে সর্বাধিক রানের দিক থেকে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ হাজার ৩১৩ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকলেও টেস্টে ফিরতেই হেসে উঠলো মুশফিকের ব্যাট। অবশ্য এই ফরম্যাটে ভালো সময়ই কাটছে তার। সর্বশেষ ৪ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৮*, ৪০, ৪০ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১ রান করেন মুশফিক।