মায়ের শেখানো ভাষাতেই সুখ মুস্তাফিজের

মুস্তাফিজুর রহমানের ইংরেজি দুর্বলতার ব্যাপারটি নতুন খবর নয়। জাতীয় দলে ৫ বছর হয়ে গেলেও ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বা সাক্ষাৎকারে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায় না বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসারকে। বাংলাতেই কথা বলেন তিনি। ইংরেজি বললেও দুই-একটি শব্দের বেশি বলতে দেখা যায় না ২০১৫ সালে জাতীয় ঢুকেই ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দেওয়া মুস্তাফিজকে।
এ নিয়ে অবশ্য মাথাব্যথা নেই কাটার মাস্টারের খেতাব জেতা মুস্তাফিজের। ইংরেজিতে কথা বলতে না পারলেও আফসোস নেই তার। বাংলায় কথা বলতেই ভালোবাসেন তিনি। পরিবেশ যাই হোক, ভাষা হিসেবে বাংলাকেই বেছে নেন তিনি। ইংরেজি শিখতেই হবে, এমন ভাবনা কাজ করে না তার মধ্যে।
মায়ের কাছ থেকে শেখা ভাষায় কথা বলাটা মুস্তাফিজের কাছে বিশেষ কিছু। কে কীভাবে দেখছে বা অন্যরা কীভাবে ইংরেজিতে উন্নতি করছেন, সে নিয়ে ভাবার সময়ই নেই মুস্তাফিজের। ব্যাপারটি একটুও বিব্রত করে না তাকে। বুধবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ফাঁকে এমনই জানিয়েছেন মুস্তাফিজ।
শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, ভারত ও পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চল থেকেও অনেক ক্রিকেটার উঠে আসেন। যারা শুরুতে ইংরেজিতে কথা বলায় অভ্যস্ত থাকেন না। পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষায় নিজেদের ঝালাই করে নেন। বাংলাদেশে এই চর্চাটা কম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কয়েক বছর পার করে ফেলার পরও অনেক ক্রিকেটার ইংরেজিতে কথা বলায় দুর্বলই থেকে যান।
আপনি বা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এই জায়গাটায় নিজেদের উন্নত করেন না কেন? এমন প্রশ্নে মুস্তাফিজ বলেন, 'আমি বাংলায় বলি। আমি যেভাবে আছি এভাবে থাকতে ভালোবাসি। অন্যরা কী করে, আমি জানি না। বাংলায় আমার ভালো লাগে। আমি বাংলায় কথা বলতে পারি, এটা আমার মা শিখিয়েছে।'
নিজের প্রথম আইপিএলে বল হাতে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন মুস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা বাঁহাতি এই পেসার জেতেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। আইপিএলের ওই মৌসুমে মুস্তাফিজের কথা বুঝতে ও তাকে বোঝাতে দোভাষী রাখতে হয়েছিল আইপিএলের দলটিকে।