মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলে ম্লান আশরাফুল
প্রথম ম্যাচে ৩৮ করে রান আউটে কাটা পড়েন। এতে রান ক্ষুধা যেন আরও বেড়ে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুলের। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাটে রান। এবার ইনিংস পেরিয়েছে ৪০। যদিও ইনিংসটা কাজে লাগেনি। মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হেরে গেছে আশরাফুলের দল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। নেতার মতোই দলকে পথ দেখিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল খেলেছেন স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস। ১৫০ স্ট্রাইক রেটে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আশরাফুল, সৈকত আলী, নাসির হোসেনদের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রান তোলে শেখ জামাল। জবাবে মুমিনুল- মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে সাত বল বাকি হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
জয়ের লক্ষ্য ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা যদিও ভালো ছিল না গাজীর গ্রুপের। দলীয় ২০ রানেই ফিরে যান যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন। সৌম্য সরকারও বেশি সময় টিকতে পারেননি। শাহাদাতের মতো তিনিও ১৩ রান করে বিদায় নেন। ৪০ রানে ২ উইকেট হারালেও দলকে কোনো চাপ বুঝতে দেননি মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।
তৃতীয় জুটিতে ৯৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন এ দুজন। তাদের ব্যাটেই জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ। মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ, দুজনই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মুমিনুল ৩৬ বলে ৮টি চারে ৫৪ রান করেন। ম্যাচ সেরা মাহমুদউল্লাহ ৫১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। শেখ জামালের মোহাম্মদ এনামুল ২টি ও সালাউদ্দিন শাকিল একটি উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা শেখ জামালের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৫ বলে ৪টি চারে ইনিংস সেরা ৪১ রান করেন আশরাফুল। ৩৩ রান করেন সৈকত আলী। এ ছাড়া নাসির হোসেন ২০, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১১, জিয়াউর রহমান ২০ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১১ রান করেন। গাজী গ্রুপের মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২টি করে উইকেট নেন।