ব্যালন ডি’অরের সপ্তম স্বর্গে মেসি
তালিকায় ছিলেন লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বরার্ট লেভানডোভস্কির মতো ফুটবলাররা। কিন্তু মেসির নামটিই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল, হলোও সেটাই। রোনালদো, লেভানডোভস্কিদের পেছনে ফেলে ২০২১ সালের ব্যালন ডি'র জিতেছেন মেসি। এটা তার সপ্তম ব্যালন ডি'অর পুরষ্কার।
সোমবার রাতে প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্ঠানে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পুরস্কারটি জিতলেন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জিতেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ ফুটবলার রবার্ট লেভানডোভস্কি। অনূ্ধর্ব- ১৯ ফুটবলারদের কোপা পুরস্কারটি জিতেছেন স্পেনের পেদ্রি।
গত আগস্টে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। এর আগে বার্সার হয়ে বিদায়ী মৌসুমটা মনে রাখার মতো ছিল না তার। এরপরও অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন তিনি, লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩০ গোল করে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো জেতেন পিচিচি ট্রফি। কোপা দেল রের ফাইনাল জয়ে জোড়া গোল করেন তিনি।
এরপর গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই হারিয়ে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ে নেতৃত্ব দেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে চার গোল করে ও পাঁচটি সতীর্থদের করিয়ে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মেসি।
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি'অর পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু করা হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি'অর জেতেন মেসি। এরপর তারই রাজত্ব চলতে থাকে, বার্সেলোনার জার্সিতে টানা তিনটি ব্যালন ডি'অর জেতেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদকুর। ২০১৫ সালে পঞ্চম ও ২০১৯ সালে সপ্তম ব্যালন ডি'অর জেতেন মেসি। সবগুলোই বার্সার হয়ে জেতেন, এবারই প্রথম অন্য ক্লাবের হয়ে পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।