বিসিবির কোষাগারে ৯০০ কোটি টাকা
দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধনী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিভিন্ন সময়ে অন্য ফেডারেশনকেও আর্থিক অনুদান দেওয়ার নজির আছে বিসিবির। কেবল দেশেই নয়, ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা পাঁচ বোর্ডের একটি বিসিবি। আগের তুলনায় বিসিবির আয় বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ব্যয়ও। এরপরও বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর) ৯০০ কোটি টাকা।
যদিও এই অঙ্কটি নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এতদিন বিসিবির কর্তাদের মুখে কখনও ৫০০ কোটি, কখনও ৬০০ টাকার কথা শোনা গেছে। কিন্তু শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোষাগারে আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
নাজমুল হাসানের এমন বক্তব্যের পর বিসিবিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অঙ্কটি ৯০০ কোটি নয়। বিসিবির এফডিআরে সাড়ে ৫৪৫ কোটি টাকার মতো আছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিসিবির এক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'সভাপতি মহোদয় বিসিবির মোট সম্পদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। আদতে বিসিবির এফডিআরে সাড়ে ৫৪৫ কোটি টাকার মতো আছে।'
ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আগে হেড কোচ থাকত। এখন বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং কোচ, ট্রেনার আছে জাতীয় দলে। এরপর এইচপিতে, মহিলা দলে, অনূধর্ব-১৯ দলেও বিদেশি কোচ। কী পরিমাণ খরচ বিসিবির বেড়েছে। ক্রিকেটাররা এবং ওদের সংশ্লিষ্টরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেত, অন্তত এখন ১০ গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের সব লোকাল স্পন্সর্স, বাইরের নয়। টাকা আমরা কম পাই (আইসিসির রাজস্ব থেকে)। এতকিছু করার পরও, আমাদের এখন এফডিআর আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো।'
এ ছাড়া আগামী অর্থ চক্রে আইসিসির রাজস্ব ভাগও বাংলাদেশ বেশি পাবে বলে দাবি করেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, '২০২৩ সাল থেকে আমরা অনেক বেশি পাব। আমাদের এতোদিন যে অনুপাতে দিয়ে এসেছে, ওটা ঠিক না। আমি ওদের কাছে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, কিন্তু আট বছরের অর্থ চক্রে পড়ে গিয়েছে। ২০২৩ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সমান টাকা পাবে বাংলাদেশ। আমাদের দিতো জিম্বাবুয়ের সমান, এতো বছর ধরে।'
যদিও বিসিবি সভাপতির এই তথ্য সঠিক নয়। আইসিসির এই অর্থ চক্রেই অস্ট্রেলিয়াসহ দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সমান ১২৮ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। যা ২০১৭ সালে নিশ্চিত হয়। সবচেয়ে বেশি ৪০৫ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে ভারত। ইংল্যান্ড পাচ্ছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ না হওয়ায় জিম্বাবুয়ে পাচ্ছে ৯৪ মিলিয়ন ডলার।