বাবরের কথা কানেই নিচ্ছেন না মুমিনুল!
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জমেনি, পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই-ই করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে কিছুটা লড়াই হলেও ফল পক্ষে আসেনি। হোয়াইওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ এবার টেস্ট মিশন শুরুর অপেক্ষায়। এই সিরিজেও পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি সাংবাদিকরা এই সিরিজকে আখ্যা দিলেন, 'সহজ সিরিজ' হিসেবে।
তাদের সঙ্গে অনেকটাই একমত পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। সিরিজ সহজ না হলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। রাখঢাক না রেখেই বাবর জানিয়েছেন, 'কঠিন' ক্রিকেট খেলতে চান তারা। তবে বিপক্ষ দলের অধিনায়ক বা দেশটির সাংবাদিকরা কী বলছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
মুমিনুলের মতে, টেস্ট ম্যাচে থাকে অনেক বাঁক, ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানোয় সুযোগ থাকে ঘুরে দাঁড়ানোর। তাই প্রতিপক্ষ কী বলল, না নিয়ে চিন্তা করছেন না তিনি। নিজের দলের ওপর আস্থা রেখে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সাইকেলে ভালো শুরুর আশায় বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের আগের দিন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, 'দেখেন টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা। এখানে সেশনে সেশনে মোমেন্টাম পরিবর্তন হতে পারে। পাঁচ দিনের চার দিনে ১২টা সেশন আপনি জিতলেও শেষ দিনে ৩টা সেশন যদি আপনি না জেতেন, তাহলে ফল কিন্তু আপনার পক্ষে আসবে না।'
'পাঁচ দিনে সবকটি সেশন যারা ভালো খেলবে, তারা ম্যাচ জিতবে। এখানে একেক জনের আত্মবিশ্বাস একেক রকম। আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ওরা (পাকিস্তান অধিনায়ক ও সংবাদমাধ্যম) কী বলছে, তা নিয়ে আমি চিন্তা করছি না। আমি আমার পরিকল্পনাতেই অনড় থাকার চেষ্টা করছি।' যোগ করেন মুমিনুল।
মিরপুরের একাডেমি মাঠে পাকিস্তান দল অনুশীলনে পতাকা ওড়ানোয় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। বৃহস্পতিবার অধিনায়ক বাবর আজমসহ পাকিস্তান দলের ২১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নালিশি মামলা দায়েরের আবেদন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
এ নিয়েও বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুমিনুলকে। যদিও তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলতে চাননি। তার মতে, এসব কানে না নেওয়াই ভালো। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, 'বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তা আমার কোনো শোনারই দরকার নাই মনে করি। না শোনাই ভালো।'