বাঁধভাঙা উল্লাসে ‘টাইগার কিং’ আকবরকে বরণ
বাঁধভাঙা উল্লাস, সঙ্গে ভালোবাসা- এই দুইয়ের মিশেলে টাইগার কিং আকবরকে বরণ করল রংপুর মহানগর ও উত্তরাঞ্চলবাসী। নির্মল সেই ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করে দেখাতে চান।
‘আকবর দ্য গ্রেট’ আসছেন, এই আনন্দে সকাল থেকেই উদ্বেলিত রংপুরের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাকে বহনকারী বিমানটি যখন সৈয়দপুরে, তখন ‘আকবর, আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত রংপুর।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে আকবরকে বরণ করে গাড়িবহর নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এক ঘণ্টার পথ আসতে তার লেগেছে আড়াই ঘণ্টারও বেশি।
চেকপোস্ট, দর্শনা মর্ডান মোড়, লালবাগ শাপলা চত্বর হয়ে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। দুই পাশে হাজারও নগরবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছা। পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের আয়োজিত গণসংবর্ধনায় আবেগ তাড়িত টাইগার কিং বললেন, ‘আরও এগিয়ে যেতে চাই।’
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, দেশবাসী আজ উল্লাস করছেন। আকবর আলী এদেশের গর্ব, তাই তাকে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে গণসংবর্ধনা দেওয়া হলো। ওখান থেকে আকবরের বাসার দূরত্ব ৮-১০ মিনিটের। কিন্তু আজ সময় লাগল প্রায় এক ঘণ্টা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, দেশের গর্ব আকবর আলী। তিনি রংপুরে আসছেন। তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা একজন টাইগার কিং পেয়েছি। রংপুর ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তার জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আকবরকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মা শাহিদা বেগম, বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা। শাহিদা বেগম জানান, ‘আমি চাই আমার ছেলে যেন জাতীয় দলে সুযোগ পায়। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার ছেলেকে রংপুরবাসী যে ভালাবাসা দিয়েছে, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমার ছেলেকে এত ভালোবাসে। আমি তাদের ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ।’