দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমারের ফেরার অপেক্ষায় ব্রাজিল
বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত একটায় ১৬ দলের নকআউট পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ব্রাজিলের। এই ম্যাচে নেইমার দলের লাইনআপে থাকবেন, না বেঞ্চে– নাকি মাঠের বাইরেই থাকতে হবে ব্রাজিল তারকাকে– তা নির্ভর করছে ম্যাচ পূর্ব প্রশিক্ষণে তার পারফরম্যান্সের ওপর। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের
সেলেকাও তারকা পায়ের গোড়ালির ইনজুরিতে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ মিস করেছেন। এই আঘাত তিনি পান সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে। ওই ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত হলেও– নেইমারের অনুপস্থিতি ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশনে ছন্দপতনের ছায়া ফেলেছে।
গতকাল শনিবার নাগাদ অবশ্য আঘাত সামলে প্রশিক্ষণে ফিরেছেন নেইমার। কিন্তু, তিনি কতোটা 'ফিট' সেটাই ঠিক করবে দ. কোরীয়দের বিরুদ্ধে তিনি বলের জাদু দেখাতে পারবেন কিনা।
রোববার প্রাকটিস সেশনের আগে ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, 'ও আজ সন্ধ্যাতেই ফিরেছে প্রশিক্ষণে, যদি সে ভাল করে, তাহলে অবশ্যই খেলবে'।
তিতে জানান, নেইমার সম্পূর্ণ সুস্থবোধ করলে– বদলি খেলোয়াড় হিসেবে না নামিয়ে– তাকে প্রথম থেকেই মাঠে রাখতে চান তিনি। 'আমি আমার সেরা খেলোয়াড়কে প্রথম থেকেই খেলাতে পছন্দ করি। এই সিদ্ধান্ত এবং তার ফলাফলের দায়ও কোচকে নিতে হয়'।
এদিকে নকআউট গ্রুপে ব্রাজিল উৎরালেও– শেষ ম্যাচ হেরেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে। ফলে এই প্লেমেকারের অনুপস্থিতিটা ঠিকই অনুভব করছে। অনেক সমর্থক মনে করেন, নেইমার মাঠে থাকলে ভিন্ন হতো ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ফলাফল। তাই তাকে মাঠে ফেরানোর একটা পরোক্ষ চাপ তো আছেই।
তাছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়াকে খাটো করে দেখার নেই কোনো সুযোগ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বিরুদ্ধে জিতে চমকে দিয়েছে তারা। এই জয়ে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ১৬ দলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে কোরিয়রা।
নেইমার ফিরলে তাই খুশিই হবেন তিতে।
এর আগে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে করা মেডিকেল টেস্টে দেখা গেছে নেইমার পায়ের গোড়ালির লিগামেন্টে আঘাত পেয়েছেন। ম্যাচ শেষে বেশ খারাপই দেখাচ্ছিল তার অ্যাঙ্কেলের ইনজুরি। ফুলে ছিল জায়গাটা। তাছাড়া, টিমের ডাক্তাররা তখন জানাতে পারেননি- এই টুর্নামেন্টে খেলার ভাগ্য হবে কিনা তার।
তবে চিকিৎসার কোনো ত্রুটিও করা হয়নি বিশ্বের অন্যতম দামি ফুটবলারের ক্ষেত্রে। তাকে দেওয়া হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফিজিওথেরাপি। তাতে অনেকটাই চোট অনেকটাই সাড়ে, আর শনিবার নাগাদ প্রশিক্ষণ শিবিরেও ফেরেন নেইমার।
ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে তার শারীরিক অবস্থা ভালোই দেখা গেছে। সেখানে তাকে বল নিয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায়। এসময় ইনজুরির কোনো লক্ষণ চোখে পড়েনি।
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেইমারের বদলে খেলেছিলেন মিডফিল্ডার ফ্রেড। আর ব্রাজিলের নকআউট পর্বে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়– ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে মূল স্কোয়াডে ব্যাপক রদবদল আনেন তিতে।
বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ম্যাচে এই প্রথম মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে ৭ প্রীতি ম্যাচের মধ্যে ছয়বারই জয় পায় ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়া একমাত্র জয়টি পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে।