ফাইনালে উঠতে বড় লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক ও সফল জুটি কোনটি? ক্রিকেটের খবর রাখেন যারা, তারা চোখ বন্ধ করেই বলে দেবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম। সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পাকিস্তানের এই দুই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালেও মহাকার্যকর জুটি গড়লেন তারা।
বাবর-রিজওয়ানের জুটির পর ফকর জামানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়ল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে তিনজন ব্যাটসম্যানের চোখ জুড়ানো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বিশ্বকাপে দুর্বার হয়ে ওঠা পাকিস্তান। চলতি আসরে এই মাঠে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বরাবরের মতো এই ম্যাচেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ান শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও বাবর কেলতে থাকেন দারুণ ছন্দে। কিছুক্ষণের মধ্যে রিজওয়ানও সাবলীল ব্যাটিং শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে ৭১ রান যোগ করেন তারা।
দারুণ সূচনায় দল যখন বড় সংগ্রহের পথে, তখন থামেন বাবর। ডানহাতি এই ওপেনার ৩৪ বলে ৫টি চারে ৩৯ রান করেন। চারটি হাফ সেঞ্চুরিতে চলতি আসরে ইতোমধ্যে ৩০৩ রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার পথেই ছিলেন বাবর। কিন্তু ৭ রানের জন্য সেটা হয়নি। ২ হাজার ৫১৩ রান নিয়ে সবার ওপরে মোহাম্মদ হাফিজ। বাবরের রান ২ হাজার ৫০৭।
বাবরের বিদায়ের পর রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়েন ফকর জামান। এই জুটি থেকে ইনিংস সেরা সর্বোচ্চ ৭২ রান পায় পাকিস্তান। রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৫২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮১ রান করেছেন। যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বাকিটা সময়ে কেবল ফকর জামানই রান তুলেছেন। বাকিরা দলের স্কোরকার্ডে রান যোগ করতে পারেননি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফকর জামান ৩১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। আসিফ আলী ০ ও শোয়েব মালিক ১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ২টি এবং প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জ্যাম্পা একটি করে উইকেট নেন।