ফাইনালে উঠতে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৬৭
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না ইংল্যান্ডের। কিন্তু রান তোলার গতি বাড়িয়ে নেওয়া হয়নি তাদের। এরপর চেষ্টা চালালেন দাভিদ মালান, মঈন আলীরা। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াকু পূঁজি পেল ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে বুধবার আবু ধাবিতে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। লড়াকু এই সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথে ব্যাট হাতে ইংলিশদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মঈন আলী। সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ রান রান যোগ করেন জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। তবে দুজনের কেউ-ই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি। ৫.১ ওভারে স্কেরকার্ডে ৩৭ রান যোগ করেন তারা। এ সময় বেয়ারস্টো ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন।
৮ ওভারে ৫৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে জস বাটলারকে ফেরান কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধি। ফেরার আগে ২৪ বলে চারটি চারে ২৯ রান করেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। এরপর ইংল্যান্ডকে পথ দেখিয়েছেন দাভিদ মালান ও মঈন আলী।
এই দুই ব্যাটসম্যানই মূলত ইংল্যান্ডকে লড়াকু পূঁজি এনে দেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন তারা। মালানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
মঈন আলী এদিন কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন। দলের রানের গতি বাড়িয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ বলে ১৭ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জিমি নিশাম একটি করে উইকেট নেন।