প্রয়াত কোচকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ করলেন তামিম-আল আমিন
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের পাটা উইকেটে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অনুশীলনটা মন্দ হয়নি। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।
খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকেও অবশ্য বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র ও বিশ্বজয়ী যুব দলের ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম। দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা এই দুই সেঞ্চুরি প্রয়াত কোচদের উৎসর্গ করেছেন আল আমিন জুনিয়র ও তামিম।
এই দুই ব্যাটসম্যানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২৮৮ রান তুলে ফেলে বিসিবি একাদশ। তখনও দিনের বেশ অনেকটা বাকি। কিন্তু দুই দলের সম্মতিতে ম্যাচ শেষ করার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম। যদিও এটা অফিসিয়াল কোনো ম্যাচ ছিল না। এর আগে প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র সেঞ্চুরিটি করা তামিম প্রয়াত কোচকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ করা নিয়ে বলেন, ‘জেলা কোচ মুসলিম উদ্দিন স্যার ছিলেন, উনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আমার সেঞ্চুরিটা আমি উনাকে উৎসর্গ করতে চাই।’
এরপর বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়রও তার প্রয়াত কোচকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যার কাছ থেকে ছোট বেলা থেকে ক্রিকেট শিখেছি, উনি চার বছর আগে মারা গেছেন। আল্লাহর রহমতে শেষ চার বছরে আমি চারটা সেঞ্চুরি পেয়েছি। আরও ভালো ইনিংসগুলো খেলছি। আমি আবদুল হাদী রতন স্যারকে অনেক মিস করি। আমার সেঞ্চুরিটি স্যারকে উৎসর্গ করছি।’
যুবাদের ক্রিকেটে আলো ছড়ানো তানজিদ হাসান তামিম বুধবার বিকেএসপিতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণই দিয়েছেন। বুঝিয়েছেন পরিণত হতে খুব একটা বাকি নেই তার। যুব দলগুলোর বিপক্ষে খেলে আসা তামিম এদিন জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের বোলারদেরও শাসন করেছেন।
টেস্ট খেলুড়ে একটি দলের বোলিং লাইনের বিপক্ষেও বেশ পরিণত দেখিয়েছে তামিমকে। দুই দিনের ম্যাচ হলেও তামিম খেলেছেন পুরো ওয়ানডে স্টাইলে। মাত্র ৮৭ বলে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত ৯৯ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আল আমিন জুনিয়র খেলেন ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস।