প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া জার্সি ‘রোনালদো ৭’
১.২৯ কোটি পাউন্ড ট্রান্সফার ফি দিতে হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরিয়ে আনতে। সেই টাকার পুরোটা এই পর্তুগিজ তারকার জার্সি বিক্রি থেকেই তুলে ফেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
রোনালদোর জার্সি বিক্রি থেকে ইতোমধ্যেই ১৮.৮ কোটি পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২২১৭ কোটি টাকা) উঠেছে। যদিও এই আয়ের সিংহভাগই যাবে জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের ঝুলিতে। তবে এখান থেকে ইউনাইটেড যে অংশ পাচ্ছে, সেটাও কম নয়।
ইউনাইটেডের হয়ে দুই বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন রোনালদো। এডিনসন কাভানি তার সাত নম্বর জার্সি ছেড়ে দেওয়ায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রত্যাবর্তনের সময় নিজের পছন্দের জার্সিটিই পাচ্ছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী।
ফেরার পর এখনো ক্লাবের হয়ে একবারও মাঠে নামেননি এই পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু এরপরও বিশ্বজুড়ে ইউনাইটেড ভক্তদের উন্মাদনা আকাশচুম্বীই থাকছে। রোনালদোর জার্সি বিক্রিতে ভাটা পড়ারও কোনো লক্ষণ নেই।
বিশ্বজুড়ে এক হাজারেরও বেশি খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে আসা পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, অনলাইনে রোনালদোর সাত নাম্বার জার্সির জন্য অনুসন্ধান প্রায় ৬০০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অফিসিয়াল কিট মার্চেন্ডাইজারদের এক-চতুর্থাংশ জার্সিই বিক্রি হয়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত জার্সি বিক্রি থেকে আসা ১৮.৮ কোটি পাউন্ডের ১.৩ কোটি যাবে ইউনাইটেডের অ্যাকাউন্টে। যা জুভেন্টাসকে দেওয়া ইউনাইটেডের ১.২৯ কোটি পাউন্ড ট্রান্সফার ফির চেয়ে বেশি।
লিওনেল মেসির পিএসজি জার্সির চাহিদাও আকাশচুম্বী। কিন্তু বলা হচ্ছে, মেসির তুলনার রোনালদোর জার্সি প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে বিক্রি হয়েছে।
রিটেইল বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট ম্যাকক্লার বলেন, 'আমরা অনলাইনের খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে রোনালদোর জার্সি বিক্রি পর্যবেক্ষণ করছি, যেখানে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি।
'গত গ্রীষ্মের তুলনায় এবার রোনালদোর জার্সির জন্য অনলাইনে খোঁজ ৬০০ শতাংশ বেড়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এটি গ্রীষ্মের সেরা দলবদল হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। রোনালদো শুধু প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া জার্সির রেকর্ডই করেননি, ইউনাইটেডের আয়ে ১.৩ কোটি পাউন্ড যোগও করেছেন।'
এ সপ্তাহে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয়বারের মতো অভিষেক হচ্ছে রোনালদোর। বছরে ২ কোটি পাউন্ড বেতন পেতে যাওয়া রোনালদো বর্তমানে ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী খেলোয়াড়ও বনে গেছেন।