প্রধানমন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত মাহমুদউল্লাহ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সমালোনার শূলে চড়ানো হচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ে রীতিমতো ট্রল চলছিল। সব দিকে যখন সমালোচনার ঝড়, তখন বড় আশ্রয় পেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরও ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত মাহমুদউল্লাহ' রিয়াদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের দিন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে নিজেদের উজাড় করে দেবেন তারা। শতভাগেরও বেশি দেওয়ার চেষ্টা থাকবে তাদের।
বিশ্বকাপে দুঃস্বপ্নের সময় কেটেছে বাংলাদেশ দলের। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের হেরে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পরের দুই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও হতাশা পিছু ছাড়েনি। সবগুলো ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। বিসিবি সভাপতি-ক্রিকেটারদের কথার লড়াই, সমালোচনা, বিতর্ক, ক্যাচ মিস, চরম হতাশার ব্যাটিংয়ে সময় কাটে বাংলাদেশের।
হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কেন, আপনি এত হতাশ হন কেন? আমি এই হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তো তারা খুব চমৎকার খেলেছে। একে তো করোনার কারণে প্র্যাকটিস করতে পারেনি। তারপরও বাংলাদেশ আজকে বিশ্বকাপে খেলছে, বেশ কয়েকটি দেশকে হারাতে পেরেছে, এটাই তো বড় কথা।'
প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কথা জানানো হয় মাহমুদউল্লাহকে। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'এটা আমি শুনেছি ও দেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। উনার কথা আমাদের আরও অনেক অনুপ্রাণিত করবে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের দলের জন্য এটা অনেক ইতিবাচক একটা কথা।'
'উনি যেভাবে আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করেন, যেভাবে আগলে রাখেন, যেভাবে সাপোর্ট করেন, এটা অবিশ্বাস্য। এ জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা এতটুকু নিশ্চিত করব যেন নিজেদের শতভাগের বেশি দিয়ে খেলার চেষ্টা করতে পারি।' যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৯ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচ ২০ ও ২২ নভেম্বর মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই বেলা ২টায় শুরু হবে।