পেস বোলার থেকে মুশফিকের উইকেটরক্ষক হয়ে ওঠার গল্প

মুশফিকুর রহিমকে কখনও বোলিং করতে দেখেছেন? অনুশীলনে দেখে থাকতে পারেন, সেটাও কালেভদ্রে। জাতীয় দলে তার কাজ উইকেটের পেছনটা সমলানো। লম্বা সময় ধরে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মুশফিক। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর দিকে পেস বোলার ছিলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
এরচেয়ে মজার তথ্য হচ্ছে, ক্রিকেটারই হতে চাননি মুশফিক। ব্যাডমিন্টন ছিল প্রিয় খেলা। কিন্তু বিকেএসপিতে তখন খেলাটি না থাকায় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া হয়নি তার। বিকেএসপিতে এসে দুটি খেলায় সুযোগ হয় মুশফিকের। ফুটবল ও ক্রিকেটের মধ্য থেকে বেছে নেন ক্রিকেটকে।
ব্যাটিং করার পাশাপাশি বোলিংও করতেন মুশফিক। সেটাও পেস বোলিং। পেস বোলিং থেকে কীভাবে উইকেটরক্ষক হয়ে উঠলেন, সেই গল্প শুনিয়েছেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান।
শনিবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম লাইভে ঘণ্টা খানেক আড্ডা দেন মুশফিক। ঘরবন্দি এই অবস্থায় মানুষকে একটু ভিন্ন স্বাদ দিতে মুশফিককে নিয়ে লাইভে আসেন তামিম। এই আড্ডাতেই মুশফিক তার উইকেটরক্ষক হয়ে ওঠার গল্প শোনান।
বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে একসঙ্গে থাকায় মুশফিকের অনেক কিছু জানা তামিমের। আড্ডার এক পর্যায়ে মুশফিকের পেস বোলিং, বোলিংয়ের স্টাইল নিয়ে কথা তোলেন তামিম। ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার স্টিভ হার্মিসনের মতো বোলিং স্টাইল ছিল, এটা মনে করিয়ে দিতেই হাসিতে ফেটে পড়েন মুশফিক।
উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'বোলিং করতাম, কারণ তখন চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, 'এই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি?' পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম।'
ক্রিকেটে পথচলার শুরুটা কীভাবে, এ সময় সেই গল্পও শোনান মুশফিক। দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটিতেই সুযোগ পাই। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সব মিলিয়েই ক্রিকেটে যাই।'