পেরিলির হাত ধরে ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশ সান মারিনোর ইতিহাস
টোকিও অলিম্পিকে বারমুডার স্বর্ণ জয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে স্বর্ণ জেতে দেশটি। ৬৩ হাজার জনসংখ্যার দেশকে নারী ট্রায়ালথনে দেশকে স্বর্ণ জেতান ফ্লোরা ডাফি। সান মারিনোর গল্প শুনলে আরও বিস্ময় জাগবে। দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ হাজার ৮৬০, আয়তন ২৪ হাজার বর্গমাইল।
ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটিই টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস গড়ে ফেলল। দেশটিকে গর্ব করার উপলক্ষ এনে দিলেন আলেহান্দ্রা পেরিলি। নারী ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই শুটার। অলিম্পিকে এটাই সান মারিনোর প্রথম পদক।
সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে অলিম্পিক পদক জিতলো সান মারিনো। এতদিন রেকর্ডটি ছিল লিচেনস্টেইনের দখলে। দেশটি ১০টা অলিম্পিক পদক জিতেছে। আয়তনের দিক থেকে রেকর্ডটি বারমুডার দখলে। সান মারিনোকে পদক জয়ের পর আবেগাপ্লুত পেরিলি কেঁদে ফেলেন। গর্ব করার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'ছোট দেশ কিন্তু খুব গর্বিত।'
ইতালির শহর রামিনিতে জন্ম নেওয়া পেরিলি ১৮ বছর বয়সে সান মারিনোর নাগরিকত্ব পান। ছোট্ট দেশের সেরা অলিম্পিয়ান হিসেবে আগেই নিজেকে প্রমাণ করা পেরিলি এবার পদক জিতে নিলেন। পদক জয়ের পর তিনি বলেন, 'আমি খুবই গর্বিত, কারণ এখানে আসতে আমি অনেক পরিশ্রম করছি। লন্ডনে কাছে গিয়ে পারিনি, এবার পেয়ে গেলাম। আমরা ছোট দেশ কিন্তু খুবই গর্বিত।'
এখানেই থামছেন না পেরিলি, তার দৃষ্টি দ্বিতীয় পদকে। ব্রোঞ্জ জয়ের পর এবার স্বর্ণ জয়ের আশায় বুক বেধেছে সান মারিনো। পেরিলি তার সঙ্গী জিয়ান মার্কো বার্তিকে সঙ্গে নিয়ে নিউ ট্র্যাপ মিক্সড টিম ইভেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেছেন। স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবেন স্পেনের ফতিমা গালভেজ এবং আলবার্টো ফার্নান্ডেজের।
টোকিও অলিম্পিকে সান মারিনোর পাঁচজন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে পেরিলিকে নিয়েই সবচেয়ে আশা ছিল দেশটির। দেশের আশা পূরণ করে আরও বড় সাফল্যের পথে হাঁটছেন তিনি। ২০১২ অলিম্পিকে সামন্যর জন্য পদক জিততে পারেননি তিনি। সেবার লন্ডনে চতুর্থ স্থানে থেকে স্বপ্নযাত্রা শেষ করেন তিনি।