পুরনো শারীরিক ভাষা ফেরাতে বলছেন সুজন
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তিনি। বর্তমানে দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে। ক্রিকেটের উন্নয়নে কাছ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট পরখ করাই কাজ খালেদ মাহমুদ সুজনের। কাজটা ভালোভাবেই করে আসছেন তিনি। তাই তো বাংলাদেশ দলের শারীরিক ভাষার পরিবর্তনটা সহজেই বুঝতে পারছেন তিনি।
খালেদ মাহমুদের মতে, বাংলাদেশ দলের সেই শারীরিক ভাষা নেই, যা দুই বছর আগেও ছিল। এ কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের কাছে দুই বছর আগের শারীরিক ভাষা দেখতে চান তিনি। টিম লিডার হিসেবে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা গেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। রওনা দেওয়ার আগে বিমান বন্দরে বাংলাদেশ দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
খালেদ মাহমুদের কাছে শারীরিক ভাষাটাই আসল। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি সবসময় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার কথা বলি। অ্যাটিচিউড (শারীরিক ভাষা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে শারীরিক ভাষা আমি দেখেছি দুই বছর আগে, সে রকমটা দেখতে চাই। মাঠে লড়াই করবে, ফল কী হবে পরে দেখা যাবে। কিন্তু আমরা লড়াই করতে চাই।'
শ্রীলঙ্কা সফরের আগেরদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুমিনুল হক। প্রায় ১৩ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে একবারও বলতে দেখা যায়নি 'আমরা জিততে চাই।' ভালো ক্রিকেট খেললে ড্র করা যাবে, জয়ও পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি। তবে খালেদ মাহমুদ বলছেন, জেতার জন্যই যাচ্ছেন তারা।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'অবশ্যই আমরা জিততে চাই। ফল কী হবে, তা পরে। আমরা ওখানে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলা, এ কারণে সেশন বাই সেশন ধরে এগোতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (উইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন ডমিনেট করেও হেরে গেছি, এমনটা করতে চাই না। লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।'
শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলাদেশ দল। এরপর অনুশীলন শুরু হবে। প্রথম দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭-১৮ এপ্রিল। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৯ এপ্রিল।