পাপনের ‘কাঠগড়ায়’ সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ
প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও হা-হুতাশ করেনি বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসী মনোভাব নিয়েই স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। রেকর্ড, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা; সব মিলিয়ে বাংলাদেশকেই ফেবারিট মানা হচ্ছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ফেবারিট বলতে কিছু নেই, নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলা দলই শেষ হাসি হাসে।
জানা ব্যাপারটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবারও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় হচ্ছে সমালোচনা, চলছে কাঁটাছেঁড়া। এই হার মেনে নিতে পারছেন না খোদ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাবে বাংলাদেশ, এটা চিন্তাও করেননি বলে জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি।
হারার চিন্তা না করলেও হারের কারণ খুঁজে বের করতে সময় লাগেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের। তার মতে, রক্ষণাত্মক ব্যাটিং মনোভাবের কারণেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এ জন্য তিন সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে দায় দিচ্ছেন নাজমুল হাসান। অবস্থা বিবেচনা না করে এই তিন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করায় তখনই বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি।
ওমানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'দল হারতেই পারে। কিন্তু অ্যাপ্রোচ তো ঠিক থাকবে। ম্যাচে খেলার অ্যাপ্রোচ, শারীরিক ভাষা কিছুই ঠিক ছিল না। কোনোভাবেই না। প্রথম ৬ ওভারে সুবিধা থাকে। তখন মারতে গেলে উইকেট যাবে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু দুটি উইকেট যাবার পর ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ; প্রথম দুজনকে বাদই দিলাম। তিন, চার, পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেখানেই তো ম্যাচ হেরে গেছি আমরা।'
৩.৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশকে সাকিব ও মুশফিক মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু রানের গতি ঠিক রেখে ব্যাট চালাতে পারেননি কেউই। ৮ ওভারে তারা স্কোরকার্ডে যোগ করেন মাত্র ৩৪ রান। সাকিব ১৯ বলে ১৩ ও মুশফিক ১৭ বলে ৮ রান করেন। পরে মুশফিক কিছুটা পুষিয়ে নিলেও সাকিব ২৮ বলে ২০ রান করে আউট হন। ১০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৫৯ রান।
এভাবে খেললে ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, 'এভাবে খেললে তো বিশ্বকাপে রান তাড়া করতে পারব না। এটা তো প্রত্যেকটা খেলোয়াড় জানে। এভাবে খেললে তো জিততে পারব না। ওই সময় যেভাবে খেলা দরকার ছিল, তা ওদের মধ্যে ছিল না। এটা মেজর ইস্যু। আমাদের পরিকল্পনাও ভালো ছিল না। আমার মতে ওখানে যেহেতু ৩ ওভারে উইকেট পরে গেছে, আরও ২ ওভার বাকি ছিল, অবশ্যই সেখানে ব্যাটিং পরিবর্তন করার দরকার ছিল।'
সাকিবকে তিনে কিংবা মুশফিককে চারেই ব্যাটিং করাতে হবে, এটা মনে করেন না বিসিবি সভাপতি। তিনি ভাষায়, 'কাউকে তিনে খেলাতেই হবে, কাউকে চারে খেলাতেই হবে; সেটা তো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। পরের ব্যাটসম্যানরা তো খেলার সুযোগই পাচ্ছে না। ওদের তখন অল আউট খেলা ছাড়া গতি নেই। এভাবে পরিকল্পনা করার কারণ নেই। কী ভেবেছে জানি না।'