নাঈমকে টেস্ট দলে নেওয়া নিয়ে মুমিনুলের অস্পষ্ট ব্যাখ্যা
কেবল টি-টোয়েন্টিতেই তাকে বিবেচনা করা হয়। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে জায়গাটাও বেশ পোক্ত হয়ে গেছে নাঈম শেখের। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে দলেও বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সেভাবে ভাবা হয়নি। কিন্তু এর মাঝেই টেস্ট দলে ভেড়ানো হয়েছে নাঈমকে। হঠাৎ কেন টেস্ট দলে নাঈম? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচকের মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর মতো অস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও।
দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা উঠলে ক্রিকেটাররা সব সময়ই টিম ম্যানেজমেন্টের কথা উল্লেখ করেন। যেন তাদের কোনো অংশগ্রহণই নেই। যদিও এদিন নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে মুমিনুল বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। এ কারণেই নাঈমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলো। যদিও উত্তরে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারলেন না তিনি।
দল নির্বাচনে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে মুমিনুল বলেন, 'অবশ্যই দল সাজানো থেকে শুরু করে কে খেলবে না খেলবে, কারা ঢুকছে না ঢুকছে এই ব্যাপারে আমিই ভূমিকা রাখি। একটা অধিনায়ক বসিয়ে দিলে অন্যরা করবে, এ রকম নয়। অনেক কিছু আমার মাধ্যমেই আসে। টস জেতা, কে খেলবে না খেলবে, ইত্যাদি সব।'
এমন হলে নাঈমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মুমিনুলের কাছে ব্যাখ্যা থাকা উচিত। কিন্তু মুমিনুল যা বললেন, সেটা অস্পষ্ট। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, 'সত্যি বলতে আমার আর কোনো ব্যাকআপ ওপেনার নেই। নাঈমের কথা যেটা বললেন, একটা খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক খেলার ভেতরে আছে। হঠাৎ একটা খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিয়ে এলে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সমস্যা হয়।'
'আপনি এমন কাউকে নেন যে আসলে আন্তর্জাতিক খেলার ভেতরে, যে জানে আন্তর্জাতিক জিনিসটা কী। নাঈম শেখের কথা যেটা বললেন, এক দেড় বছরে চারদিনের ম্যাচ খেলেছে। গত এক দেড় বছরে টি-টোয়েন্টি খেলা ছিল, আর কোভিডের কারনে আমরাই খেলতে পারিনি।' যোগ করেন মুমিনুল।
টেস্টে খেলা হয় লাল বলে, টি-টোয়েন্টিতে সাদা বলে। এতোদিন টি-টোয়েন্টি খেলে আসা নাঈমের যে লাল বলে সমস্যা হবে, সেটা বোঝা গেছে অনুশীলনেই। ব্যাটে-বলে করতে না পারায় এক পর্যায়ে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় নেট থেকে। শুক্রবার নেটই করতে দেখা যায়নি তাকে। বলের ভিন্নতা নিয়ে মুমিনুল বলেন, 'এটা অবশ্যই ম্যাটার করে। কিন্তু আপনার যখন ব্যাকআপ ওপেনার থাকবে না, তখন যে খেলার ভেতরে থাকবে, অনুশীলন করিয়ে তাকে এগিয়ে নেবেন।'