দুধ বিক্রি করে জীবন চালান রোনালদোর সাবেক সতীর্থ
ওয়েইন রুনি, রায়ান গিগস, কার্লোস তেভেজ; প্রথম দফায় এ রকম অনেক তারকা ফুটবলারের সঙ্গেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার প্রথম জীবনের অনেক সতীর্থই হারিয়ে গেছেন অজানায়।
এ রকম হারিয়ে যাওয়া এক সাবেক ইউনাইটেড তারকার নাম রিচার্ড একার্সলে। এক সময় ইউনাইটেডের একাডেমির প্রতিভাবান মিডফিল্ডার হিসেবে দেখা হতো এই ৩২ বছর বয়সীকে। সেই একার্সলেই এখন দুধ বিক্রি করে জীবন চালান।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটির হয়ে তার অভিষেক হয় ২০০৯ সালে। কিন্তু বেশিদিন গড়ায়নি তার ক্যারিয়ার। এ ক্লাব, ও ক্লাব করতে করতে ২০১৫ সালে ওল্ডহ্যাম অ্যাথলেটিকে ঠিকানা গাড়েন এই ইংলিশ ফুটবলার। তখন ইংল্যান্ডের তৃতীয় বিভাগে খেলে ওল্ডহ্যাম। ওল্ডহ্যামে থাকা অবস্থাতেই ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি।
সম্প্রতি দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একার্সলে বলেন, 'ওল্ডহ্যামের টাকা বা আশা কোনোটাই ছিল না। একদিন এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছি আমরা, সঙ্গে আমাদের নবজাতক শিশু; তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলে বসলাম, ফুটবল ছেড়ে দিতে চাই আমি। খুবই স্বস্তি পেয়েছিলাম (কথাটুকু বলে)। আমার কাছে ছয় মাস বা এক বছর চলার মতো টাকা ছিল।'
'আমি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ইউনাইটেডে ফিরে আসা নিয়ে ভাবছিলাম। শেষবার যখন তিনি এখানে ছিলেন, আমিও ছিলাম সাথে। তার সঙ্গে অনুশীলন করতাম আমি। আর এখন আমি একজন দুধ ব্যবসায়ী, ওটমিল্ক বিক্রি করে চলি।' যোগ করেন তিনি।
তবে নিজের বর্তমান জীবন নিয়েও কোনো আফসোস নেই একার্সলের। এখনকার নির্মল সাদাসিধে জীবনটাই তাকে শান্তি দেয় তাকে।
নিজের বর্তমান বাসস্থান নিয়ে একার্সলে বলেন, "সমুদ্রের কাছে, জলাভূমি আছে, নদী আছে। এখানেই আমার মেয়েরা বড় হবে। আমাদের নিজস্ব বাড়ি আছে, বাগান আছে এবং আমরা নিজেরাই নিজেদের খাবার উৎপাদন করি। এ গ্রামে কোনো রাস্তা নেই। এটাও দারুণ। এখানে নৈতিকতাই মূল কথা। এখানকার সবাই নিরামিষভোজী এবং এখানে সব খাবারই শতভাগ জৈবিক।'
সূত্র: মার্কা।