দিনে নয়, রাত ১০টায় শুরু বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট!
কোনো কাজেই যেন শুদ্ধতা নেই। এক কাজ করতে গিয়ে আরেকটি কাজ করে ফেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পুরনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। উদাসীনতা, অবহেলায় অনেক ভুলের ফেরে পড়তে হয় দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে। কদিন আগেই পেসার শহিদুল ইসলামের ছবি পোস্ট করতে গিয়ে ফটোশপের আশ্রয় নেয় বিসিবি। সাকিব আল হাসানের ছবির গলা কেটে সেখানে শহিদুলের মুখ বসিয়ে সেটা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিসিবি। যা নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা হয়।
আরও একবার বিসিবির উদাসীনতার চূড়ান্ত উদাহরণ দেখা গেল। সকাল ১০টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচের জন্য বিসিবির ছাপানো টিকেটে দেখা গেল সময় লেখা ১০টা! যেন সামান্য এই বিষয়টা দেখার মতো দায়িত্বশীল মানুষও বিসিবিতে নেই!
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে ২৬ নভেম্বর। ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে। ২২ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রতিদিন ৫ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে টিকেট কেটেছেন, কিন্তু টিকেট হাতে নিয়েই চোখ কপালে তাদের!
'ভুল দেখছি না তো'- টিকেট কাটা প্রায় সবারই 'এক্সপ্রেশন' ছিল এমন। হওয়ারই কথা, জন্মলগ্ন থেকেই দীর্ঘতম এই ফরম্যাটের ম্যাচ সকালে শুরু হওয়ার রীতি। কিন্তু এএম-পিএম- এর বিভ্রাটে বিসিবি সেটাকে বানিয়ে দিয়েছে রাত ১০টা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের টিকেটে খেলা শুরুর সময় দেওয়া হয়েছে রাত ১০টা। পাঁচ দিনের জন্য ছাপানো সব টিকেটেই একই ভুল।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিটাক মোড় ও এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামের নির্ধারিত বুথে টিকেট বিক্রি করা হয়। টিকেট হাতে নিয়ে অনেকে এদিক-সেদিক তাকাতে শুরু করেন। অন্যের টিকেটেও চোখ বুলাতে থাকেন তারা। ভুল দেখে কেউ কেউ কাউন্টারে গিয়ে জানান ব্যাপারটা। কিন্তু বুথে টিকেট বিক্রির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, এ নিয়ে কিছুই করার নেই তাদের। তাদের কাছে থাকা সব টিকেটেই ম্যাচ শুরুর সময় রাত ১০টা।
এ নিয়ে কেউ কেউ ক্ষোভ ঝারছিলেন। রাহাত নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, 'এটা হতে পারে না, চেক না করেই এটা বিক্রির জন্য কীভাবে চূড়ান্ত করে বিসিবি। তাদের সব কাজই যদি এমন হয়, ক্রিকেট যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। সামান্য এই বিষয় যদি দেখার মতো কেউ না থাকে, তাহলে বড় বড় ব্যাপারগুলো কে দেখবে। বিসিবি এসব কাজ চরম অপমানজনক তাদের জন্য।
এ বিষয়ে বিসিবির এক পরিচালক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, 'এই ঘটনা দু:খজনক। বারবার এমন ভুল বিসিবির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এটা নিয়ে বিসিবিতে তোলপাড় অবস্থা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আরও সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। পুরো ব্যাপারটি জেনে এ ব্যাপারে আমরা করণীয় ঠিক করব।'