তামিমের অধিনায়কত্বের প্রশ্নে বিরক্ত হাবিবুল বাশার

ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন গত বছরের মার্চে। কিন্তু তামিম ইকবালের নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো ২০২১ সালের জুনয়ারিতে এসে। প্রথম পরীক্ষাতে লেটার মার্ক নিয়েই পাস করেছেন অভিজ্ঞ এই বাংলাদেশ ওপেনার। অধিনায়কত্বের প্রথম মিশনেই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তি মিলেছে তামিমের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
প্রথম মিশনেই শতভাগ সাফল্য অধিনায়ক তামিমের। পুরো সিরিজে কেমন ছিল তার নেতৃত্ব, অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কতোটা চতুরতার ছাপ রাখতে পেরেছেন তিনি; এ নিয়ে কাটাছেড়ায় ব্যস্ত সংবাদমাধ্যমগুলো। কিন্তু একটি সিরিজ দিয়েই একজন অধিনায়ককে মূল্যায়ন করার রীতি মনে ধরছে না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশারের। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত তিনি।
সবখানেই তামিমের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা, কিন্তু অধিনায়ক তামিমকে মূল্যায়ন করার সময় হয়েছে কিনা জানতে চাইলে দ্য বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ডকে হাবিবুল বাশার বলেন, 'তামিমকে নিয়ে সবাই কেন প্রশ্ন করছে আমি জানি না। ওটা নিয়ে আসলেই প্রশ্ন করা উচিত নয়। তারপরও আমি বলব তার বোলিং পরিবর্তন খুব ভালো ছিল, আমি মুগ্ধ। সে যেভাবে বোলারদের হ্যান্ডেল করেছে, আমি মুগ্ধ।'
অধিনায়কত্বের প্রশ্নে বিরক্ত হলেও তামিমের প্রশংসা ঠিকই করলেন হাবিবুল বাশার। একইভাবে দলের পারফরম্যান্সেও দারুণ খুশি সাবেক এই অধিনায়ক। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে বাংলাদেশ যেভাবে শাসন করে সিরিজ জিতেছে, তাতে সন্তুষ্ট হাবিবুল বাশার, 'আমরা অনেক দিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললাম। ওই হিসেবে আমি বলব যে ভালোই হয়েছে আমাদের।'
'আরও ভালো হতে পারতো। আমরা অনেকদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমেছি, সেই হিসেবে সবকিছু প্রত্যাশামতোই হয়েছে। আর সব সময় তো প্রত্যাশা একটু বেশি থাকে, উন্নতির অনেক জায়গা থাকে। সবকিছু মিলিয়ে আমি বলব যে ওয়ানডে সিরিজটা আমাদের ভালো হয়েছে।' যোগ করেন বিসিবির এই নির্বাচক।
করোনাভাইরাসের ধকল সামলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলো বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় ফিরলেন সাকিব আল হাসান। ফিরেই ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার ঝুলিতে পুড়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। সাকিবের এমন প্রত্যাবর্তনে একটুও অবাক নন হাবিবুল বাশার।
তিনি জানতেন, শেষের জায়গা থেকেই শুরু করবেন সাকিব। হাবিবুল বাশার বলেন, 'সাকিবের জন্য এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা সবাই জানতাম, সে যেখানে শেষ করেছে, সেখানে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। সবার জন্য এটা লাগে, কিন্তু বেশি সময় নেয়নি সাকিব।'