তামিমকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে মুশফিক
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টটি ডানহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের ৭৬তম ম্যাচ। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেললেও দেশের হয়ে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের স্থানটা দখলে নেওয়া হচ্ছিল না তার, ছুটছিলেন তামিম ইকবালের পেছনে পেছনে। এবার সিংহাসনটি নিজের দখলে নিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তামিমকে পেছনে ফেলার পথে ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ৯১ রানে আউট হওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২ রানের জন্য সেটা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রান করতেই তামিমকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে উঠে যান মুশফিক।
দীর্ঘদিন শীর্ষে থাকা তামিম ইকবাল ৯ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ হাজার ৭৮৮ রান করেছেন। অবশেষে মুশফিকের কাছে জায়গাটি ছাড়তে হলো তাকে। ৭৬ টেস্টে ১৪০ ইনিংসে ৭ সেঞ্চুরি ও ২৪ হাফ সেঞ্চুরিতে মুশফিকের রান এখন ৪ হাজার ৭৯৩ (চলমান)।
প্রথম ইনিংসের ৯১ রান দিয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েন মুশফিক। দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৬৪ (৪৪ টেস্ট) রানের মালিক হয়ে গেছেন তিনি। এ পথেও মুশফিক পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ওপেনার দেশের মাটিতে ৩৭ টেস্টে ২ হাজার ৬২০ রান করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে শীর্ষে থাকা তামিমের অবস্থান এখন দুই নম্বরে।
সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিকের প্রয়োজন ছিলো ৯৩ রানের। শুক্রবার ৮২ রান করে অপরাজিত থাকা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার ১১ রান দূরে ছিলেন। ৯১ রানে আউট হওয়ায় আবারও ২ রানের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে। অবশেষে অপেক্ষা ফুরালো তার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন মুশফিক। সাগর পাড়ের এই স্টেডিয়ামে মুশফিকের রান ১ হাজার ২৮২ (চলমান)। যেকোনো এক ভেন্যুতে সর্বাধিক রানের দিক থেকে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ হাজার ৩১৩ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকলেও টেস্টে ফিরতেই হেসে ওঠে মুশফিকের ব্যাট। অবশ্য এই ফরম্যাটে ভালো সময়ই কাটছে তার। এই টেস্টের আগের ৪ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৮*, ৪০, ৪০ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১ রান করেন মুশফিক।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকা:
মুশফিকুর রহিম: ৭৬ ম্যাচে ৪ হাজার ৭৯২ রান
তামিম ইকবাল: ৬৪ ম্যাচে ৪ হাজার ৭৮৮ রান
সাকিব আল হাসান: ৫৮ ম্যাচে ৩ হাজার ৯৩৩ রান
মুমিনুল হক: ৪৬ ম্যাচে৩ হাজার ৩৫৫
হাবিবুল বাশার: ৫০ ম্যাচে ৩ হাজার ২৬