টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দায় নিজের ওপর নিলেন মুমিনুল
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশার অন্যতম কারণ ছিল টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। দুই ইনিংসেই 'ফ্লপ' বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দুই ওপেনারসহ শুরুর চার ব্যাটসম্যানের কেউ-ই রানের দেখা পাননি। উল্টো কারও কারও আউটের ধরণ ছিল চরম দৃশ্যকটু। ম্যাচ হেরে এসবের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। টপ অর্ডারের অংশ হওয়ায় দায় নিজের ওপর নিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ম্যাচের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুলকে যে কয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে, এর মধ্যে কঠিনতম অংশ ছিল টপ অর্ডার নিয়ে কথা বলা। কারণ দুই ইনিংসে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি শুরুর দিকটা সামলানোর দায়িত্বে থাকা ব্যাটসম্যানরা। এদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুমিনুল, তাই খারাপের দায় তিনিই নিলেন।
টপ অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, 'টপ অর্ডারে আমিও আছি। টপ অর্ডারে বাকি সবাই ছিল অনভিজ্ঞ, আমিই একমাত্র ছিলাম ৪০টার বেশি ম্যাচ খেলা। কাজেই দায়টা আমার নিজের উপরই নিচ্ছি।'
বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও পাকিস্তান ছিল দারুণ। তাদের দুই ওপেনার দুই ইনিংসেই দারুণ জুটি গড়েন। এখানেই পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে বলে মনে করেন মুমিনুল, 'পার্থক্য এখানেই গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেই (৪৯/৪)। দ্বিতীয় ইনিংসেও ও রকম (২৫/৪)। যদি এই অবস্থায় হয়, তাহলে খেলায় ফেরা কঠিন। উপরের কেউ অবদান রাখলে খেলাটা অন্যরকম হতো।'
ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মুমিনুল জানালেন, দুই দিনের মধ্যে এমন কিছু করা সম্ভব নয় যে, সব পাল্টে যাবে। তিনি বলেন, 'এই দুদিনের অনুশীলনে খুব বেশি অর্জন করতে পারবেন না। এই দুদিনে অত বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত থাকতে হবে।'
'আর কোন কোন জায়গায় কাজ করা দরকার, এইগুলো নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে। মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা, এই বোলারদের বিপক্ষে খেলব সেটার একটা মাইন্ড সেটআপ রাখা, মানসিকভাবে ফিট থাকতে পারলে ওভারকাম করা যায়।' যোগ করেন মুমিনুল।