ছোট থেকেই নেতৃত্ব দেওয়ার মানসিকতা ছিল আকবরের
খেলাধুলায় খুব ভাল ছিলেন আকবর, ছিলেন পড়াশোনায়ও বেশ মনোযোগী। কথা বলায় যেমন
ছিলেন সবার আগে, তেমনি ছিল জানারও আগ্রহ। কোনো ভাবে মাইক্রোফোন হাতে পেলেই সবার আগে কথা বলতেন। খেলা শেখার প্রথম থেকেই নেতৃত্ব দেয়ার মানসিকতা ছিল তার মধ্যে। সব খেলোয়াড়কে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মতো এক ধরনের অদ্ভুত শক্তি ছিল তার।
২০২০ সালের অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলীর ব্যক্তিত্বের এমন বিষয়গুলো জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দিনাজপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
বিকেএসপি দিনাজপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘‘আকবর আলী সবসময় খেলাপাগল ছিল। ছিল প্রবল কৌতূহলী। কোনো কিছু না বুঝলে বারবার প্রশ্ন করতো।’’
বিকেএসপির আঞ্চলিক এই কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রংপুরের মোস্তফা আলী ও সাহিদা বেগমের ছেলে আকবর আলী এই কেন্দ্রে ভর্তি হন ২০১২ সালে। তার ক্যাডেট নম্বর ৬৪। সে এখান থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছে। এখান বের হয় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। মূলত এই কেন্দ্রে ওই সময়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে চলে যেতে হয়েছিল
ঢাকায়।
দিনাজপুর এই আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে জীবনে প্রথম হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবারের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আট খেলোয়াড়। এদের মধ্যে আকবর আলী সবার চেয়ে আলাদা ছিলো বলে জানিয়েছেন এখানকার কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা। ছোট থেকেই নেতৃত্ব দেয়ার মনোভাব ছিল তার মধ্যে। যা তাকে এনে দিয়েছে ঠান্ডা মাথার নেতৃত্বদানকারী খেলোয়াড় হিসেবে।
বিকেএসপির এই কেন্দ্রের ক্রিকেট কোচ আফতার ইমাম বলেন, আকবর আলী এই কেন্দ্রে আসার পর আমার অধীনে খেলাধুলা শেখে। এখান থেকে আমি ঢাকার বিকেএসপিতে যাওয়ার পর এইচএসসি পর্যন্ত আমার অধীনে আবারও খেলা শেখে আকবর।
বিকেএসপির দিনাজপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক আখিনুর জামান বলেন, যুব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আট শিক্ষার্থী আমাদের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছে। খেলাধুলা শিখেছে। ওদেরকে শেখাতে পেরে আমরা গর্বিত।
যুব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া খেলোয়ারদের মধ্যে বিকেএসপি দিনাজপুর কেন্দ্রের সাবেক আট শিক্ষার্থী হলেন- আকবর আলী, পারভেজ হোসান ইমন, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, শাহীন
আলম, হাসান মুরাদ, আশরাফুল ইসলাম সিয়াম, শামীম পাটোয়ারী ও তানজিম
হাসান সাকিব।
২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রে অধ্যয়ন করেন তারা।