চাকরি হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ডমিঙ্গো
বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েই বড় হার দেখেছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। ঘরের মাঠে টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২৪ রানের অস্বস্তির হারে যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের। এরপর থেকে তিক্ত সব অভিজ্ঞতা হয়েছে ডমিঙ্গোর। দলকে ঠিক কক্ষপথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠ কিংবা বিদেশের মাটি; সবখানেই দল ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থেকে গেছে।
কোচ হিসেবে তার সাফল্য বলতে ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি জয়, ২০২০ সালের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের 'দ্বিতীয় সারির' দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। লাগাতার ব্যর্থতায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে যতোটা সমালোচনা, ডমিঙ্গোকে নিয়ে তার চেয়েও বেশি সমালোচনা হয়ে আসছে।
গত ৬ এপ্রিল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছিলেন, 'কোচের কাজে অবশ্যই আমরা সন্তুষ্ট নই। যদিও তার ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভাবনা নেই বোর্ডের। সামনে দুটি সিরিজ আছে। এই দুটি সিরিজের পর তার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে।'
আকরাম খানের ভাষ্যমতে, শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে ডমিঙ্গোর চাকরি। সেই হিসেবে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজটি ডমিঙ্গোর জন্য ছিল পরীক্ষার প্রথম অংশ। যেখানে তিনি ও তার দল ব্যর্থ।
প্রথম টেস্টে পাটা উইকেটে রান পাহাড় গড়ে ড্র করলেও দ্বিতীয় টেস্টে লড়াই-ই করতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমার বোলিংয়েই দিশেহারা হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, মেনে নিতে হয় ২০৯ রানের হার। ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর আবারও আলোচনায় প্রধান কোচের চাকরি হারানোর বিষয়টি।
যদিও এ নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না তিনি। মঙ্গলবার দেশে ফেরার পর বিমান বন্দরে চাকরি হারানোর শঙ্কার পশ্নে প্রোটিয়া কোচ বলেন, 'আসলে তেমন না (প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা, এমন প্রশ্নে)। আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারটি উপভোগ করছি। দলের সেট আপে উপভোগ করছি।'
দল নিয়ে অনেক কাজ করার আছে বলে জানান ডমিঙ্গো। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও নজর দিতে বলছেন তিনি, 'অবশ্যই আরও কাজ করার আছে। আমার যখন ভালো করি না তখন ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ক্রিকেটাররা কী সুবিধা পায়, সেটা দেখা উচিত। অবশ্যই আমাদের ফল ভালো ছিল না। কিন্তু আমি ভালোভাবে দলকে বুঝতে শুরু করেছি এবং সামনে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।'
সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নেওয়ার আছে বলে মনে করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ। তার ভাষায়, 'সফর থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিতে পারি। আমার মতে ছেলেরা প্রথম টেস্টে খুবই ভালো খেলেছে। উইকেটে টার্ন থাকার কারণে দ্বিতীয় টেস্টের টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে আমাদের বোলাররা দারুণ লড়াই করেছে। ফল আমাদের পক্ষে না এলেও সফর থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু নেওয়ার আছে।'