চলে গেলেন দেশের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার রামচাঁদ গোয়ালা

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন বাঁহাতি স্পিনারদের জয়জয়কার। তবে বর্তমান প্রজন্মের কজনই বা জানেন দেশের জাতীয় দলের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার ময়মনসিংহের ব্রাক্ষ্মপল্লীতে জন্মগ্রহণ করা রামচাঁদ গোয়ালা।
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহে নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তার খোঁজ কেও না রাখলেও ক্রিকেটকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালোবেসে গেছেন চির কুমার রামচাঁদ গোয়ালা।
রামচাঁদ গোয়ালা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য একটি নাম। প্রথম বাঁহাতি স্পিনার তকমা নিয়ে ১৯৯৩ সালে ঢাকা লীগ খেলে যখন অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন, ততদিনে ঢাকা লীগের ছয়বারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসাবে তার রচনা করা হয়ে গিয়েছিল এক সমৃদ্ধ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে টাউন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। সেখান থেকেই আশির দশকের একদম শুরুতে যোগ দেন আবাহনীতে। আবাহনীর পক্ষে একটানা প্রায় ১৪-১৫ বছর খেলেন রামচাঁদ গোয়ালা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে খেলেন তিনি।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, দেশের ক্রিকেটের ইতিহাস রামচাঁদ গোয়ালাকে ছাড়া লেখা যাবে না। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ক্রিকেটই ছিলো তার ধ্যান-জ্ঞান। তাকে আমরা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয় দেশের প্রথম এই বাঁহাতি স্পিনার। বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বয়সের ভারে নুহ্য বাংলাদেশের প্রথম এই বাঁহাতি স্পিনার সম্প্রতি চোখের অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন।
ভাতিজা তপন কুমার গোয়ালা, দুই নাতি আকাশ ঘোষ ও অথৈ ঘোষ এবং দুই ভাতিজার স্ত্রীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ব্রাক্ষ্মপল্লীতে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন রাম চাঁদ গোয়ালা। গত বছর বিসিবি তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিল। সেই অর্থ দিয়ে চলেছে তার দৈনন্দিন জীবন ও চিকিৎসা খরচ। তার এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনে।