চরম হতাশার ব্যাটিংয়ে অল্পতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
হারে শুরু, হারেই বসবাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার লিগে হার দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম তিন ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে আছে। সামান্যতম যে সম্ভাবনা বেঁচে আছে, সেটা জিইয়ে রাখতে বাকি থাকা দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের। এমন সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমে চরম হতাশার ব্যাটিং করল বাংলাদেশ। প্রোটিয়া বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই।
মঙ্গলবার আবু ধাবিতে সুপার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮৪ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। সেটাও স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের ব্যাটিংয়ের কল্যাণে। আগুনে বোলিং করা কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, তাবরাইজ শামসিদের বোলিং তোপের মুখে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন সবাই। দলের বিপদে কেউই পারেননি দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে।
বাংলাদেশের স্কোরকার্ডের চেহারা যেন ঠিক 'মোবাইল নম্বর'। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন, এর মধ্যে কেউই পারেননি নিজের ইনিংস বড় করতে। সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। বাকি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন।
বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে ভাঙনের সুর বেজে গেছে। অন্য প্রান্তে নিয়মিত ধারায় উইকেট পড়তে থাকরেও লিটন অবশ্য এক পাশ ধরে রাখেন। কিন্তু অনেক বল খেলে ফেলার পরও সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৩৬ বলে একটি চারে ২৪ রান করেন তিনি। তবু রক্ষা যে একপাশ আগে ব্যাট চালিয়ে গেছেন তিনি, না হলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায়ও পড়তে হতে পারতো।
লিটনের বিদায়ের পর শেখ মেহেদিই যা রান করেন। ডানহাতি অফ স্পিনার ২৫ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করেন। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১১ রান করেন। বাংলাদেশের ইনিংসে ৪ ছিল মাত্র ৪টি, ছক্কা একটি।
রানের খাতাই খুলতে পারেননি পাঁচজন ব্যাটসম্যান। তারা হলেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। নাঈম শেখ ৯, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ ৩ রান করে করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নরিকয়া ৩টি করে উইকেট নেন। তাবরাইজ শামসি ২ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস একটি উইকেট নেন।