চট্টগ্রাম টেস্টে যেকোনো কিছু সম্ভব, বিশ্বাস ডমিঙ্গোর
দুঃস্বপ্নের শুরুর পরও প্রথম ইনিংসে আলোর পথের সন্ধান মিলেছিল। মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে আসে লড়াইয়ের পূঁজি, ৪৪ রানের লিডও পাওয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চোখের পলকেই যেন সব শেষ। ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। দরকার আর ৯৩ রানের, হাতে এখনও ১০ উইকেট ও এক দিন। এরপরও বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছেন, চট্টগ্রাম টেস্টে যেকোনো কিছু সম্ভব।
টেস্ট ক্রিকেটে সব সম্ভব বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। এ কারণেই যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরও আশা হারাচ্ছেন না বাংলাদেশের কোচ। পাকিস্তান যোজন যোজন এগিয়ে আছে, এটা জেনেও প্রোটিয়া এই কোচ বলছেন এখনও যেকোনো কিছু সম্ভব। এর জন্য শেষ দিনের শুরুতেই পাকিস্তানের দুই-একটি উইকেট তুলে নিতে হবে, তাতেই রং বদলে যেতে পারে টেস্টের।
বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে হতাশার শেষ নেই। মুশফিক ও লিটন ছাড়া কেউই রানের দেখা পাননি। বল হাতে তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, মেহেদী হিাসান মিরাজরা ভালো করলেও তা মিলিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। এতো কিছুর পর দলকে নিয়ে গর্বিত ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, 'ছেলেরা এই টেস্টে যেভাবে লড়াই করেছে, আমি সত্যিই গর্বিত। তারা দারণ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।'
'তবে এই ম্যাচে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। তাদের আরও ৯৩ রান দরকার, তো নিজেদের পক্ষে কিছু করতে হলে বিশেষ কিছু করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট সব সম্ভব। এখনও সুযোগ আছে, এই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের কাল সকালে মাঠে নামতে হবে। প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যে আমরা যদি দুই-একটি উইকেট নিতে পারি, যেকোনো কিছু সম্ভব।' যোগ করেন বাংলাদেশ কোচ।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশের হতাশার ব্যাটিং-ই বাংলাদেশকে অনেক চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ বলেন, 'প্রথম দুই দিন আমরা খুবই ভালো ছিলাম। তৃতীয় দিনের প্রায় পুরোটা সময় ভালো যায়, কিন্তু গতকাল শেষ সেশনে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি।'
'এটা আমাদের চাপে ফেলে দেয়। এটা দেখা খুবই হতাশার ছিল। এর আগ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের বিচারে আমরা ভালো খেলেছি বলে আমার মনে হয়। প্রথম ইনিংসে আমরা লড়াকু পূঁজি পাই। লিড পাওয়ার পথে স্পিনার ও পেসাররা দারুণ করে। কিন্তু গতকালকের শেষ সেশনটা আমাদের ভয়াবহ ছিল, যা ম্যাচে আমাদের খুব চাপে ফেলে দিয়েছে।' যোগ করেন বাংলাদেশের কোচ।